সুপ্রভাত বগুড়া (আলমগীর ): মাদক সেবনের ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তির ভালো-মন্দ জ্ঞান থাকে না। তখন তার একটিই চাহিদা থাকে কিভাবে সে মাদক সেবন করতে পারবে। অভিভাবকের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা-পয়সা না পেলে একসময় সে বাড়ীর মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করা শুরু করবে।
পরিবারের কারও সাথে বনিবনা থাকবে না, সকলের সাথে খারাপ আচরণ করবে। একটা সাজানো-গোছানো সংসারকে ধ্বংস করে দিতে পারে এ মাদক। গতকাল শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামবাগ মসজিদের পূর্ব প্রান্তে জেলার একমাত্র মাদকাসক্ত পূণর্বাসন কেন্দ্র “পুণর্জন্ম মাদকাসক্তি চিকিৎসা, সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্র” পরিদর্শনকালে এ কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল।
এসময় তিনি পুণর্জন্ম মাদকাসক্তি চিকিৎসা, সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্রে চিকিৎসারত যুবকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাদের কাছে জানতে চান -কি করে তারা এ মরণ পথে পা দিয়েছিলো।তাদের ভালো-মন্দ খোঁজ-খবর নেন এবং মাদকাসক্ত যুবকরা চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে সমাজের মুল ধারায় প্রবেশ করবে এমনটা প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র না থাকায় জেলার মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর, রংপুর অথবা বগুড়া নিয়ে যেতে হতো। এতে খরচও অনেক বেশি পড়তো, তাই অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্বেও মাদকাসক্তদের সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন ঠাকুরগাঁওয়ে এ নিরাময় কেন্দ্র চালু হওয়ায় এর খরচও অনেক কমে গেছে।
তাই আমি জেলার মাদকাসক্ত পরিবারের অভিভাবকদের অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের মাদকাসক্ত সন্তানের প্রতি আর অবহেলা করবেন না, তাদের ভালো হওয়ার সুযোগ দিন, তাদের চিকিৎসা করান।
পুণর্জন্ম মাদকাসক্তি চিকিৎসা, সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, পুণর্জন্ম মাদকাসক্তি চিকিৎসা, সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্র’র পরিচালক হাসান কবীর সিহাবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।