সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডেউ নিয়ে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সভা কক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। দেশে শীত মৌসুমে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর ব্যাপারে কথা হচ্ছে। তবে আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি। স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও করোনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কাজেই দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও জনমনে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সম্মিলিতভাবেই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে।’
দেশে করোনার ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেবামূলক কাজে বর্তমান সরকার উদারতার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন একজন করোনা রোগীর পেছনে সাধারণ বেডে সাড়ে ১৫ হাজার ও আইসিইউতে ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
এভাবে একজন করোনা রোগীর জন্য সরকার গড়ে দেড় থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করছে।’ স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানকে সামাজিক আন্দোলনে রূপদান করা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত একমাত্র ছাত্রসংগঠন সন্ধানীর সেবাদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ধানী ৪৩ বছর ধরে দেশের মানুষের জন্য মহৎ কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সন্ধানীর সব মহৎ কাজের সঙ্গেই থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবদের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘সন্ধানীর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০টি কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। অনেকেই কর্ণিয়া দানে অঙ্গীকার করলেও শেষ পর্যায়ে তা আর দিতে পারেন না। অঙ্গীকারকারীর পরিবারের বাধায় অনেক সময় কর্ণিয়া পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. মোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী ও মহাসচিব ডা. মো. জয়নুল ইসলাম।