কাশ্মীরে গ্যাস মজুদের নির্দেশ; যুদ্ধ কি তবে বেধেই যাচ্ছে ?

কাশ্মীরে গ্যাস মজুদের নির্দেশ; যুদ্ধ কি তবে বেধেই যাচ্ছে ?

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি দেশটির সংবিধান থেকে ৩৭০ নম্বর ধারাটি বাতিলের পর থেকে কেন্দ্র যতই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকার কথা বলুক, কাশ্মীরে সহিংস কার্যকলাপে রাশ টানা যায়নি। গত ৪ মাসে ৪ জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হলেও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা অব্যাহতই থেকে গেছে। 

এদিকে, লাদাখের গালওয়ানের উপত্যাকায় ভারত ও চীনের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। চীন নাকি পাকিস্তান, কার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী থাকবে ভূস্বর্গ কাশ্মীর? জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নতুন নির্দেশিকায় তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কী রয়েছে সেই নির্দেশিকায়? 

এদিকে, বাসিন্দাদের বলা হয়েছে আগামী দুই মাসের জন্য রান্নার গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ করতে। তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলোকেও কাশ্মীরের গুদামে আগামী দুমাসের জন্য পর্যাপ্ত এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নির্দেশিকায় সিদুঁরে মেঘ দেখছেন।

একদিকে চীন, অন্যদিকে পাকিস্তান-কার সঙ্গে আগে যুদ্ধে জড়াবে ভারত? বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কাশ্মীরে যেন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধ-প্রস্তুতি। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিধ্বসের কারণে জাতীয় সড়কে পণ্য পরিবহণ ব্যাহত হতে পারে।

সেই কারণেই কাশ্মীরে আগামী দু’মাসের জন্য এলপিজি গ্যাস পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, গান্ডারওয়াল এলাকার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকেও জারি হয়েছে একটি নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়েছে এলাকার ১৬টি স্কুল নিরাপত্তা কর্মীদের জন্যে ব্যবহার করা হবে।

তাই যেন খালি করে দেওয়া হয় স্কুলগুলো। উল্লেখ্য, গান্ডারওয়াল হল কাশ্মীরের কার্গিল সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয় লোকজনের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে যে কারণই দেখানো হোক না কেন, আগের অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। তাই বেশ বড় ধরনের কিছুই যে ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে নিশ্চিত তারা।

সম্প্রতি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের ভিসা থাকা ২৫০ কাশ্মীরি যুবক হঠাতই উধাও হয়ে গেছে। এমনকী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্যে সীমান্তে অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৪০০ জঙ্গি।

এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের বাতাস ভালো নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম গ্রীষ্মের মাঝামাঝি স্থানীয় প্রশাসন এলপিজি গ্যাস মজুদ বৃদ্ধির নির্দেশ দিল। সাধারণত, অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে তীব্র শীতকালে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার নজির রয়েছে।

তুষারপাতের কারণে সড়কে পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই ওই ঋতুতে মজুদের পরিমাণ বাড়ানো হয়। তাই কাশ্মীরিদের ভীতি একেবারেরই অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে যুদ্ধ কি তবে আসন্ন? উত্তরের অপেক্ষায় কাঁপছে ভূস্বর্গ। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here