সুপ্রভাত বগুড়া (সোহেল রানা, কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার সকাল ১০ টায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি মীর ইসমাইল ডিগ্রি কলেজ মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নুরে তাসনিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী (বাপ্পি) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আব্দুস ছালাম,সদস্য জেলা পরিষদ কুড়িগ্রাম, সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সাজেদুল ইসলাম মন্ডল (চাঁদ) কমিশনার ভুমি মোছাঃ আকলিমা বেগম, কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আক্তার, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব উজ্জ্বল কুমার রায়,পিআইও জনাব সজিবুল করিম, সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামান , সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম,,প্রেসক্লাব রাজারহাট এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এবং একই সঙ্গে সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রত্যেক শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের স্বজনদের প্রতি, যাঁরা দীর্ঘ বছর ধরে বয়ে চলেছে আপনজনকে হারানোর বেদনা ও কষ্ট।পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের রাজাকারদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের।
এসব হত্যার কারণটি স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতার কারণেই এতটা ব্যাপক ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই বাহিনীগুলোর সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উঠিয়ে এনেছেন; তুলে দিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে একটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন।আমি সাংবাদিক সোহেল রানা একজন ক্ষুদ্র কলম যুদ্ধা লেখক হিসেবে দাবি করছি,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে যারা বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে আছে অথবা পলাতক আছে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলংকমুক্ত করা হোক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা জাতির যে কোন বিপর্যয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন।
ইতিহাসের এই বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের কুলাঙ্গারদের প্রতি ঘৃণা জানায় কোটি কোটি দেশপ্রেমিক বাঙালি। ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস,দেশের মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা শোকাবহ দিন। ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে উৎকীর্ণ বেদনা বিধুর কালবেলা দিন।