কৃষককের মামলায় চেয়ারম্যানের কারাদন্ড

28
কৃষককের মামলায় চেয়ারম্যানের কারাদন্ড

আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নারিল্যা গ্রামের কৃষক মন্তেজার রহমানের দায়ের করা কৃষক নির্যাতন মামলায় সংশ্লিষ্ট  খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলুর ভাগিনা আবদুল্লাহ আল ফারুক (৪৮) কে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

মামলাটি ২০১৭ সালে দায়ের হয়  এবং দীর্ঘ ৫ বছর পর্যালোচনার পর ১৬ মার্চ  বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মির্জা শায়লা এই রায় প্রদান করেন।  রায়ে ১ হাজার  ৫০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদয়ে ১ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তবে রায়ের পরপরই আদালতে জরিমানার টাকা জমা দেন সাজাপ্রাপ্ত ওই চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল ফারুক। তিনি ২০১৭ সালে  উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ এর সদস্য পদে রয়েছেন।

জানাযায়, ২০১৭ সালে কৃষক মন্তেজার রহমানের জমির ভিতর দিয়ে জবর দখল করে রাস্তা নির্মান করেন খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক। এতে বাধা দিলে বৃদ্ধ কৃষক মন্তেজার রহমানকে লোকজন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ধরে নিয়ে এসে মারপিট করেন। এরপর মন্তেজার রহমানের ব্যবহৃত বাই-সাইকেল দিয়েই সাইকেল চোর বানিয়ে থানায় ধরিয়ে দেন ওই চেয়ারম্যান। এরপর বৃদ্ধ   কৃষক  মন্তেজার রহমানকে  সারারত থানায় আটকে রেখে  তদন্ত চালায় পুলিশ।

পরদিন গনমাধ্যম কর্মিরা সরেজিনে গিয়ে তথ্য উদঘাটন করে বৃদ্ধ কৃষকের প্রতি  চেয়ারম্যানের অমানবিক নির্মমতার চিত্র তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেন। আর পুরো ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ মন্তেজার রহমানকে  ছেড়ে দেয় এবং চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং দীর্ঘ ৫ বছর মামলাটি চলার পর ঐ রায় প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য  ফারুক৷ সেই সময়ও চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বর্তমানেও চেয়ারম্যান।  এছাড়া সেসময় তিনি শাজাহানপুর  উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন আর বর্তমানে তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।  বাদী কৃষক মন্তেজার রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও ফারুক আমার প্রতি চরম অন্যায় করেছিলেন।

আমাকে মেরে আমারই সাইকেল দিয়ে আমাকেই সাইকেল চোর বানিয়ে থানায় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। যা একজন জনপ্রতিধি হয়ে, অমানবিক আচরণ।  তবে ৫ বছর পর হলেও আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। যদিও শাস্তি আরো বেশি হলে খুশি হতাম।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য দন্ডপ্রাপ্ত  খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও  তিনি রিসিভ করেন নাই।