সুপ্রভাত বগুড়া (শিক্ষা-সাহিত্য): সম্প্রতি এশিয়ার সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন। এশিয়ার ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-২০২০ নামে ওই তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও জায়গা পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।
আর সেই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪০১তম। গবেষণা এবং নিজস্ব বাজেটসহ বিশ্ব র্যাংকিংয়ে যাওয়ার সকল শর্তেই পিছিয়ে আছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর মঞ্জুরি কমিশন বলছে, এই অবস্থা কাটাতে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোসহ নানা পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
বিদেশি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদেরও আগ্রহী করার চেষ্টা করছে কমিশন। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব দিক দেখা হয় তার মধ্যে আছে গবেষণা খাতে অবদান, নিজস্ব বাজেট, শিক্ষার্থীদের জীবনমান ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
আর তাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব বিষয়ে পিছিয়ে থাকার কারণেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে সুবিধাজনক জায়গায় যেতে পারছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আখতারুজ্জামান বলেন, এমন অবস্থা কাটাতে সার্বিকভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে।
আর সে ক্ষেত্রে গবেষণায় বরাদ্দ যেভাবে বাড়াতে হবে। সেই সাথে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়েও একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হবে। ওদিকে বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরে পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, প্রযুক্তিখাতে গবেষণার জন্য শুধুমাত্র সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।
র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে নিতে গবেষণার জন্য আলাদা তহবিল ও বিদেশি শিক্ষকদের দেশে আনতে উৎসাহিত করাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর।
আর শিক্ষকদের পিএইচডিতে আগ্রহী করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর।