
সুপ্রভাত বগুড়া (নিজস্ব প্রতিবেদক): আজ সকাল ১১ টায় মিরপুর – ০১, ডেলটা হসপিটালের বিপরীত দিকে কলোনীর ভিতরে শ্রমিকবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ২০২০ এর শুভ উদ্ধোধন করা হয়েছে।
“গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উক্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ২০২০ এর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অত্যন্ত সুনামধন্য শ্রমিক নেতা, এশিয়ার অন্যতম সেরা শ্রমিক সংগঠক, বাংলাদেশ আ্য়ওয়ামীলীগের ভাতৃপ্রীতম সংগঠন জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক- আলহাজ্ব কে.এম. আযম খসরু।
উল্লেখ্য, গত ১৫জুন ২০২০ইং থেকে শুরু করে মাসব্যাপী এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে মিরপুর – ০১, ডেলটা হসপিটালের বিপরীত দিকে ওয়াক-আপ কলোনীর ভিতরে বৃক্ষরোপনের উদ্বোধনকালে কে.এম.আযম খনরু বলেন: বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মাতা, আমাদের সকলের অভিভাবক আমাদের শেষ ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন ২০২০ অব্যহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন: ‘এই মুহুর্ত্বে করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীকে আতংকিত করে রেখেছে, লকডাউন করে রেখেছে, ঠিক তখনই নেত্রী নির্দেশ দিয়েছে সারা বাংলাদেশকে বনায়ন করার জন্য।’ জাতীয় শ্রমিকলীগকে টার্গেট দিয়েছেন ৫ লক্ষ গাছ রোপন করতে হবে।’
কি কারণে বলেছেন, আপনারা জানেন ঢাকা শহরে গাছের সংখ্যা অনেক কম। আমরা গ্রীন ঢাকা চাই, স্বপ্নের ঢাকা চাই। কারণটা হলো কি, গাছ মানুষকে অক্সিজেন দেয়, আর সেই অক্সিজেন আমরা গ্রহণ করি। বিনিময়ে আমরা যে কার্বনডাই অক্সাইড ত্যাগ করি গাছ তা গ্রহণ করে, ১টা গাছ কয়েকটি মানুষের বেচে থাকার অবলম্বন হিসাবে কাজ করে।’
বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাওয়ায় এর রেডিয়েশনের কারণে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মানুষের মৃত্যু বেড়েছে তাই প্রাকৃতিক ভাবে এর প্রতিকারে তাল গাছের বিকল্প নাই। নেত্রী একটি ভাষণে বলেছেন আপনারা বেশি বেশি করে তালগাছ লাগান।’ বর্তমানে অনেকেই মন্তব্য করছেন, আওয়ামীলীগের নেতারা করোনা ভাইরাসে বেশি মারা যাচ্ছে, আসলে আওয়ামীলীগের নেতারা সেবা মূলক কাজ করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন।
আপনারা বিভিন্ন পত্রিকায় দেখেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পৃথিবীর সব থেকে ভালো দক্ষ প্রসাশন এবং শাসক হিসাবে আজকে মারগারেট ট্রেজারকে পার করে গিয়েছেন, ইন্দ্রিরা গান্দিকে পার করে গিয়েছেন, শ্রীলংকার কুমারা সাঙ্গাকে পার করে নেত্রী এক নম্বরে চলে গিয়েছেন’।
আমরা বাঙ্গালী, বীরের জাতি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা ঘুণিঝড়, জলশ্বাস, মংগা, দুর্ভিক্ষ অনেক কিছু অতিক্রম করে এই জাতি আজকে বড় হয়েছে, পৃথিবীর মধ্যে আজকে জিডিপিতে ডেভেলপ করেছে।
এত সংকটের পরেও ৩৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ফান্ড বাংলাদেশ ব্যাংকে আমাদের আছে। কি কারণে আছে, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা, তার একনিষ্ঠতা, তার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা।
করোনা আসার পরে এক মিনিটের জন্য তিনি উৎকন্ঠা মুক্ত হতে পারেন নি। তিনি সারাক্ষণ এই করোনা নিয়ে, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন। তিনি ১লক্ষ ৩হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল করার জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ক্রমান্বয়ে সচল হতে যাচ্ছে।
কে.এম.আযম খসরু, সকলের ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়ে বলেন: নিজ নিজ সুরক্ষার দায়িত্ব অ্যাপনার আমার সকলের। তিনি হাতে গ্লোভস, মুখে মাস্ক ও সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রতি সকলকে সচেতন করেন।
করোনা থেকে নতুন ভাবে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সকলকে হাতে হাত রেখে কাধে কাধ রেখে একযোগে কাজ করে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করে যেতে হবে বলে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন মহান এই কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা।
ভিডিও :