
সুপ্রভাত বগুড়া (নিজস্ব প্রতিবেদক): করোনা উপসর্গ নিয়ে বগুড়া সদরের পুরান বগুড়া এলাকায় হাসান আলী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু, নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে যেন জন্ম জন্মান্তরের বন্ধনের কোন মূল্য থাকছে না, করোনা আতংকে আজ যেন আপন মানুষ গুলোও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, হাসান আলীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে ঘরের এক কোনায়। ভয়ে আতংকে কেউ তার কাছে আসছে না।
আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসী,সবাই যখন দূরে তখন শোকাহত পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন এলাকার তরুণ সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহিন হোসেন।
বগুড়া সদর থানা আওতাধীন স্টেডিয়াম ফাঁড়ির ইনচার্জ ও কোয়ানটাম ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় বাসা থেকে লাশ বের করে নামাজগড় কবরস্থানে জানাজা করে দাফন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
পুরান বগুড়া’র অত্যন্ত স্বনামধন্য “সোনালী অতীত সংঘ” এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন তরুণ এই সমাজ সেবক।
তবে তিনি করোনা কালীন সময়ে মানবতার এমন ভুলুন্ঠন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “করোনা মহামরি একটি বৈশ্বিক বিপর্যয় এখানে ভাইরাসটি আমাদের জীবনের জন্য হুমকী হলেও আক্রন্ত ব্যক্তিটি বা তার পরিবার কিন্তু আমাদেরই ভাই, বন্ধু বা আপনজন”।
‘তাই তাদের সামাজিক ভাবে অবজ্ঞা না করে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিশেষ করে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাড়ানো উচিত’ বলে মনে করেন সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহিন হোসেন ।