প্রশাসন বলছে লকডাউন; জনপ্রতিনিধিদের ভিন্ন মত পোষণ!

191
প্রশাসন বলছে লকডাউন; জনপ্রতিনিধিদের ভিন্ন মত পোষণ!

সুপ্রভাত বগুড়া (স্বাধীন মতামত): রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বৃহষ্পতিবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। আইন-শৃংখলা বাহিনী লকডাউনের কথা বললেও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন ভিন্ন কথা।

এদিকে, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোনো এলাকা রেড জোন হিসেবে এখনো লকডাউন হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রশাসনিক কারনে এখনো লকডাউন কার্যকর করা যাচ্ছে না।

আষাঢ়ের বৃষ্টি, আবার এসেছে ফিরে কংক্রিটের নগরীতে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জন্য এই বৃষ্টি উপভোগের সুযোগ নেই নগরবাসীর। করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকা রেড জোন হিসেবে লকডাউন করা হবে।

এরই মধ্যে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা লকডাউন করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। রাজাবাজারে আগের মতোই কঠোরভাবে লকডাউন চলছে। সাতটি গেট বন্ধ থাকলেও শুধুমাত্র গ্রীন সুপার মার্কেটের পাশে নানজনীন স্কুলের গেটটি নিয়ন্ত্রন করছে আইন-শৃংখলা বাহিনী ও সেচ্ছাসেবকরা।

জরুরী সেবার সাথে জড়িতরাই শুধু পরিচয় দিয়ে বের হতে বা ঢুকতে পারছেন। দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি এলাকাও রয়েছে রেড জোনে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় সিটি কর্পোরেশন।

কোন এলাকায় কতোটুকু জায়গা লকডাউন করা হবে সেটি নির্ধারণ করা জরুরি। কারন এই লকডাউনের সাথে জড়িত রয়েছে অনেক মানুষ, তাদের আয়-রোজগার, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি।

লালবাগের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানালেন, এলাকা নির্ধারণ করা না হলে লকডাউন কার্যকর করতে জটিলতা তৈরী হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলে রোড জোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে ২-৩দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।