সুপ্রভাত বগুড়া (আকাশ সরকার রাসেল): বগুড়া সদরে গোকুল ইউনিয়নে বাঘোপাড়া মধ্যপাড়ায় বাড়ীর সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বে ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ সালমা বেগম হত্যার এজাহার নামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।

বগুড়া সদর থানায় মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের বদরুল আলম মুকুল মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২) কে বাড়ীর সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন, দেবর সহ কয়েকজন মিলে দিনে দুপুরে তার মাথায় রডের আঘাত করে।
নিহত সালমা বেগম এর স্বামী জানান, বাড়ীর সীমানা দিয়ে সিএনজি পারাপার করতো পার্শ্ববর্তী বাড়ীর আবু বক্করের পুত্র সম্পর্কে ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন (৩০) গত ২০ এপ্রিল সকাল ৯টায় এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে ভাতিজা সাদ্দাম চাচী সালমা বেগমের মাথায় রড় দিয়ে স্ব-জোরে আঘাত করে।
অবস্থা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় সালমাকে গ্রামের স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ এপ্রিল রাত ১১টায় তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে ৪ জনকে আসামী করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সালমা
বেগমের পিতা আব্দুস ছামাদ। মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস এম বদিউজ্জামান, সার্বিক দিক নির্দেশনা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই বেদার উদ্দিনকে।
তিনি মামলার দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণ করে আসামীদের গ্রেফতার করতে জোর প্রচেস্টা চালান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারি অফিসার সদর থানা এস আই
বেদার উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ মামলার এজাহার নামীয় আসামী গৃহবধূ সালমা
বেগম এর সম্পর্কে দেরব উল্লেখিত গ্রামের মৃত অফিল উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) কে গত কাল সমবার দিবাগত রাত ১টায় জয়পুরহাট জেলা ক্ষেতলাল উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বগুড়া সদর থানায় নিয়ে আসেন।
অদ্যই মঙ্গলবার আসামীদের আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে
মামলার তদন্তকারি অফিসার এস আই বেদার উদ্দিন জানান। বাকি আসামীদের দ্রুত
গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে মামলা
তদন্তকারি ঐ কর্মকর্তা জানান।