বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাফেজের ধর্ষনে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী অন্তঃসত্বা !

290

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব): বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক হাফেজের ধর্ষণে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী তিন মাসের অন্তঃসত্বা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে।
শুক্রবার ১০ জুলাই মেয়েটি গর্ভকালীন উপসর্গে অসুস্থ হলে অভিভাবকদের এসব তথ্য জানায়। ঘটনা জানাজানির পর থেকে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস পলাতক রয়েছে।

প্রতিবেশী ও অভিভাবকরা জানান, ওই শিশু এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সে প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে গ্রামের হাফেজ রুহুল কুদ্দুস (৫৫) এর বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। ঘটনার দিন হাফেজের বাড়িতে পরিবারের লোকজন কেউ ছিল না। পড়া শেষে সবাইকে ছুটি দিয়ে শিশুটিকে পড়া ধরবেন বলে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস তাকে বসতে বলে।

এরপর অন্য শিশুরা চলে যাওয়ার পর লম্পট হাফেজ তাকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে শিশুটিকে শাসিয়ে বিদায় দেয়। শিশুটি ভয়ে পরিবারের কাউকে ওই ঘটনার কথা জানায়নি।

এ কারনে শিশুটি ভয়ে চুপচাপ থাকলেও দুুদিন আগে ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা নন্দীগ্রাম হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং শিশুটির আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। ওই রিপোর্টে মেয়েটিকে তিন মাসের অন্তঃসত্বাা বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তেলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং হাফেজেরে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছে এলাকাবাসি। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির বলেন, ওই শিশু শিক্ষার্থী অন্তঃসত্বা ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হাফেজ রুহুল কুদ্দুসকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।