বগুড়ার সবকটি গরুর হাটে মানা হচ্ছেনা করোনার নির্দেশনা, নেয়া হচ্ছে ৫’শ থেকে ৯’শ টাকা পর্যন্ত!

বগুড়ার সবকটি গরুর হাটে মানা হচ্ছেনা করোনার নির্দেশনা, নেয়া হচ্ছে ৫’শ থেকে ৯’শ টাকা পর্যন্ত! ছবি-রায়হানুল

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সবকটি গরুর হাটে মানা হচ্ছেনা করোনার নির্দেশনা। মাক্সনেই, দূরত্ব নেই, গরু-মানুষের গাদাগাদি যেন লক ডাউনের বিপরীত মহাযজ্ঞ। তাদের দাবি এটা মান কি সম্ভব? নেয়া হচ্ছে ক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ থেকে৭০০ টাকা বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০০ টাকা (সর্বমোট গরু প্রতি ৯০০টাকা পর্যন্ত) ।

বিক্রয় রশিদেও অনেক হাটে কোন টাকা উল্লেখ করা হচ্ছেনা। এ জুলুম থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। তবে প্রশাসন যেন নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে এমন প্রমান রয়েছে অহরহ। তার জলন্ত উদাহরণ হিসেবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালুচ হাট ও বাজারে রোববারের গরুর হাটে ইজারাদার মিজানুর রহমান মজনু বিক্রয় রশিদে কোন টাকা উল্লেখ না করেই দিব্যি হাট চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইজারাদার মিজানুর রহমান মজনুর দাবি তিনি ৪০০ টাকা করে নিচ্ছেন অথচ ক্রেতারা জানিয়েছেন ৫০০ টাকা দিয়েছি বিক্রেতার কাছ থেকেও ১০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঐ উপজেলার বিবিরপুকুর হাট, চৌমুহনী হাটসহ বিভিন্ন হাটে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হলেও বিক্রয় রশিদে কোন টাকা উল্লেখ করা হচ্ছেনা।

অপরদিকে কোবরানীর শেষ দিকে বড় বড় গরু উঠতে শুরু করেছে বগুড়ার বিভিন্ন হাটে। ক্রেতাদের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে কোন কোন হাটে মহিষ, উন্নত জাতে ছাগল উঠেছে। তবে বেশিরভাগ চাহিদা রয়েছে দেশি ষাড়ের। দামের দিক থেকে ক্রেতারা ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গরুর প্রতি বেশি আগ্রহী। পিছিয়ে নেই সৌখিন গরুর মালিকরাও। তারাও এগিয়ে এসেছেন বড় বড় গরু নিয়ে লাভের আশায়।

এমননি এক খামারি আব্দুল মালেক শাজাহানপুরের রানীরহাটে রাজা-বাদশা নামে দুটি ষাড় তুলেছেন যার মূল্য চাচ্ছেন (দুটি) ১২ লক্ষ টাকা। তিনি জানান, দুটি গরু তিন লক্ষ টাকায় ক্রয় করে দেড় বছর ধরে খাইয়ে এতো বড় করেছি লাভের আশায়। তিনি আরও জানান, ১৬ লক্ষ টাকা দাম চেয়েছিলাম, করোনার কারণে দাম না থাকায় এখন ১২ লক্ষে বিক্রি করতে চাই। তিনি জানান, মঙ্গলবার আবারও রানীরহাটে গরু দুটি তুলবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here