বগুড়ায় জেলা যুবলীগ নেতার আত্মহত্যার নেপথ্যে স্ত্রীর পরকীয়া !

506

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ লেলিনের (৩৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। শনিবার রাতে শাজাহানপুর উপজেলার কৈগাড়ির ভাড়া বাড়ির ডাইনিং স্পেস থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। স্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে এসআই শরিফ জানান, দাম্পত্য কলহে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তবে এলাকাবাসী বলছেন, স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে লেলিন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্র জানায়, আবু সাঈদ লেলিন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কৈচড়া গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। বগুড়া জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির প্রচার সম্পাদক লেলিন স্ত্রী ও দুই শিশু ছেলে-মেয়ে নিয়ে শাজাহানপুর উপজেলার কৈগাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

তার স্ত্রী উর্মি ফুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। শনিবার রাত ১টার দিকে বাড়ির ডাইনিং স্পেসে ফ্যানের হুকের সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া তার লাশ ঝুলছিল। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার কৈগাড়ি ফাঁড়ির এসআই শরিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় তার স্ত্রী উর্মি পুলিশের কাছে দাবি করেন, লেলিন দাম্পত্য কলহে রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন।

তবে এলাকাবাসী দাবি করছেন, স্ত্রী উর্মি এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। লেলিন অনেক চেষ্টা করে স্ত্রীকে ফেরাতে পারেননি। এ দুঃখে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তাকে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আত্মহত্যার কারণ বের হবে। এসআই শরিফ জানান, তিনিও লেলিনের স্ত্রীর পরকীয়ার কথা শুনেছেন। তবে তদন্ত ছাড়া এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।

রোববার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লেলিনের লাশ তার চাচাত ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, ছাত্রলীগ সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাবেক নেতা আবু সাঈদ লেলিন তার সংগঠনের প্রস্তাবিত কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তার আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা নেই। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।