স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচনের ভোট গ্রহন করা হবে। এটি সংবিধানের বিষয়। সংবিধান পরিপন্থী কোন কিছুই করা যাবে না তাই করোনার মাঝেও উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত।কোনভাবেই উপ-নির্বাচনের তারিখ পেছানোর সম্ভাবনা নেই। আজ শনিবার বিকালে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের উপ-নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কথাগুলো বলেন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের যে বাধ্যবাধকতা সেটা হলো সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেয়া আছে যদি নির্বাচন কোন কারণে (দৈব দুর্বিপাক) অনুষ্ঠিত করা সম্ভব না হয় তাহলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ৯০ দিন নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারেন। এরপর নির্বাচন কমিশন শ্যাল কন্ডাক্ট দিয়ে নির্বাচন করবে।
ঐ সময় শেষ হলেই নির্বাচন করতে হবে। সংবিধানে শ্যাল কথাটা অত্যন্ত মারাত্মক। শ্যাল মানে আর উপায় নেই। করতেই হবে। এর আগে যশোরে গিয়েছিলাম সেখানে এই প্রশ্নটি আমাকে করা হয়েছিল। আমাদের উপায় নেই এই উত্তরটি দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনারের আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই এটা নিয়ে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, অনেকে বলেন সুপ্রিম কোর্টে গেলেন না কেন? আসলে এখানে আমার কোন ক্ষমতা নেই, আমার কোন এখতিয়ার নেই, কারণ সংবিধানের উপর আর কোন কথা নেই। এটা যদি আইন হতো তাহলে হতো। সেখানে কিছুটা সুযোগ থাকে। সংবিধান এমন একটা বিষয় যেখানে একটা শব্দ পরিবর্তন করতে হলে জাতীয় সংসদের টু-থার্ড মেজরিটি লাগে। আবার কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো সংসদও পারে না, গণভোটে যেতে হয়। সুতরাং এখানে যে শ্যাল কথাটা আছে মানে হ্যাভ টু কন্ডাক্ট ইলেকশন উইথ ইন আফটার এক্সপায়ারর দ্য টাইম।
এখানে আমার আপনার কিছু করার নেই। সেকারণেই করোনার সংকটকালীন সময়ে সংক্রমণের ঝুকিঁর মধ্যে, বন্যাকে মাথায় রেখে, বৃষ্টিবাদলকে মাথায় রেখে আমাদেরকে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। এই সমস্ত নির্বাচনগুলো অত্যন্ত রিজিট। এটা বিশ্বব্যাপী সব জায়গাতেই। এই সংকটময় মুহুর্তেও ইতালিতে নির্বাচন হয়েছে। ফ্রান্সে কাউন্সিলর নির্বাচন হয়েছে। আমেরিকার অঙ্গরাজ্য নির্বাচন হয়েছে। সাউথ কোরিয়ায় পুুরো জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলো।
সুতরাং এই সমস্ত দেশ এবং আমাদের দেশেও জাতীয় নির্বাচনগুলো এরকম কঠিন অবস্থানে রাখে ইচ্ছে করেই যাতে এটা নিয়ে কেউ নিজের ইচ্ছে মতো সেট করতে না পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের উপর যদি শিথিলতা থাকতো যে ৯০ দিনের পরেও করা যাবে তাহলে এদেশে নির্বাচন নিয়ে বিপদ ছিলো। অন্য দেশেও এরকমই। নির্বাচন হতে হবে ঠিক ঐ সময়ের মধ্যেই।
বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অবঃ), নির্বাচন কমিশনার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক, মোজাহারুল ইসলাম, র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান প্রমুখ।