সান্তাহারে মেয়ের প্লাষ্টিক ব্যাংকের জমানো টাকা ত্রাণ তহবিলে দিলেন মা

389

সুপ্রভাত বগুড়া (শিমুল হাসান ,আদমদীঘি,বগুড়া): করোনা ভাইরাসের কারণে গরীব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের সহায়তায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের হাতে মেয়ের জন্য জমানো টাকাসহ প্লাষ্টিক ব্যাংক তুলে দিয়েছে সারামুনি নামে এক শিশুর মা মিনি সুলতানা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সারা মুনির মা মিনি সুলতানা নিজে গিয়ে এই প্লাষ্টিক ব্যাংক তুলে দিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা জাপার সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমন, শিবলী, ইতি প্রমুখ। অসহায় মানুষের সহযোগিতায় ত্রাণ তহবিলে প্লাষ্টিকের ব্যাংকটি সে তুলে দেয়।

ছোট মেয়ের জন্য জামানো ব্যাংকের টাকা দেওয়ায় হৃদয় ছুঁয়ে যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মিনি সুলতানা সান্তাহার পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের খাড়ীর ব্রীজ এলাকার সোহাগ হোসেন স্ত্রী বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মিনি সুলতানা বলেন, সে তার মেয়ের জম্ম হওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে তার প্লাষ্টিক ব্যাংকে টাকা জমায়।

সারামুনির বাবাসহ আত্মীয়রা বিভিন্ন দিবস ও ঈদ উপলক্ষে যে উপহার দিতো সেই টাকাগুলো খরচ না করে মেয়ের জন্য ব্যাংকে জমা রাখতাম। কিন্তু বর্তমান করোনার পরিস্থিতিতে গরিব মানুষ খাবার পাচ্ছে না টিভিতে এমন খবর দেখে আমি এই উদ্যোগ নেয়। ফেরদৌস হাসান সুমন বলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অসহায়দের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঠিক সেই আহবানে সাড়া দিয়ে মিনি সুলতানা এমন একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহন করছে। ভাবতে ভীষন ভালো লাগছে। মিনি আমাকে বলেছিলো ভাই একটু আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে নিয়ে যাবেন।

আমার মেয়ের জন্য ব্যাংকের জামানো টাকা ত্রান তহবিলে দিতে চায়। তার উৎসাহে তাকে নিয়েই আমি উপজেলা কার্যালয়ে যাই। নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, এটি মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত ও বার্তা। সবাই যদি মিনি সুলতানার মতো এগিয়ে আসে তাহলে এ দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।