সুইচ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশিদের জমানো টাকার পাহাড় !!

170
সুইচ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশিদের জমানো টাকার পাহাড় !!

সুপ্রভাত বগুড়া (প্রচ্ছদ): সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের (সুইস ব্যাংক) অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশিদের জমানো টাকার পাহাড় গতবছর শেষে কিছুটা কমলেও এখনো তা ৫ হাজার ৪’শ কোটির ওপরে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই বরং অন্যান্য জায়গায় কি পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে সেদিকে নজর দিতে হবে সরকারকে।

এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি বলছেন, পাচারের টাকা ফেরত আনা গেলে করোনার দুর্দিনে অর্থনীতির জন্য কাজে লাগবে। অর্থপাচারকারীদের কাছে একরকম স্বর্গ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক। কারণ তারা আমানতকারীর তথ্য সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে।

যদিও বেশ কয়েকবছর ধরে দেশভিত্তিক জমা অর্থের পরিমাণ তুলে ধরছে দেশটির সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। তাদের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাংক। যা স্থানীয় মুদ্রায় ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা।

তবে গতবছর ২০১৮ সালের নির্বাচনী বছরের তুলনায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ফ্রাংক বা ১৩২ কোটি টাকা কমেছে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ। ২০১৮ তে বাংলদেশিদের মোট আমানতের স্থিতি ছিল ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাংক। 

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সময় সংবাদকে বলেন, এখন আর সুইস ব্যাংক আগের মতো গোপনীয়তা রক্ষা করে না। তারা কিছু তথ্য শেয়ার করে। তাই (বাংলাদেশিদের জমা অর্থ যে কিছুটা কমেছে) এই ছোট পরিবর্তন বড় কোন কিছু ইঙ্গিত করে না।

তবে, টাকা অন্য কোথাও যাচ্ছে কিনা তা খুঁজতে হবে। সরকার চাইলেই সেটা করতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সুইস ব্যাংকগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ৮৯.৯ কোটি ফ্রাংক, পাকিস্তানীদের ৪১ কোটি ফ্রাংক। সে হিসেবে বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থও কম নয়।

এ টাকা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফেরালে অনেক সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। এ ব্যবসায়ী নেতার মতে, পাচার হওয়া টাকার জন্য ঢালাওভাবে সবাইকে দোষ না দিয়ে, পাচারকারীর তথ্য জানানো হোক।

এ টাকা উদ্ধার করে করোনা মহামারির এই সময়ে দেশে বিনিয়োগ করলে খুব সুফল পাওয়া যাবে। সুইস ব্যাংকে আমানতের হিসেবে ২০১৯ সালেও বিশ্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্য।