সুস্বাস্থ্যের জন্য কেন খাবেন খরমুজ; জেনে নিন উপকারিতা

278

সুপ্রভাত বগুড়া (স্বাস্থ্য কণিকা): গ্রীষ্মে শুষ্কতা এবং তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই পাচনতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে। আমাদের এমন খাবার নেওয়া উচিত যা সহজে হজম হতে পারে। কাঁচা-পাকা আম আর তরমুজ (watermelon) খেতে কে না পছন্দ করেন।

পাশাপাশি খরমুজও (muskmelon) জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন ফল। কিন্তু আপনি কি জানেন, স্বাদে অনন্য এই ফল পুষ্টিগুণে ভরা?  ভারত ও আফ্রিকার অঞ্চলে খরমুজের উত্তপতি বলে অভিহিত করা হয়। স্বাস্থের উপকারিতায় ভরপুর এই খরমুজে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেলস।

আপনার ইমিউন সিস্টেমর জন্য বিশেষ রূপে উপকারী। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও এ, রয়েছে পটাসিয়াম।

এতে আরো রয়েছে ভিটামিন বি-১, বি-৬ ও কে, ফোলেট, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং আঁশ; যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। একঝলকে দেখে নিন সুস্বাস্থ্যে খরমুজের উপকারিতা—

১. খরমুজ পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। এ ফলে রয়েছে প্রচুর পানি। এই গ্রীষ্মে শরীর থেকে ঘাম ঝরে পানি চলে যায়। তাই শরীরে পানি প্রয়োজন। আর খরমুজ খেলে পানিশূন্যতা দূর হয়। খরমুজ শরীরকে শীতল রাখে এবং তাপ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস এ ফল।

২. খরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়মিত করতে সাহায্য করে।

৩. খরমুজ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। যেহেতু এই ফল ভিটামিন এ ও বেটা কেরোটিনসমৃদ্ধ, তাই এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এ ফল খেলে চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।

৪. খরমুজে রয়েছে চর্বি দূর করার উপাদান, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৫. খরমুজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৬. ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং খরমুজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এই ভিটামিন রক্তে শ্বেতকণিকা উৎপাদন করে, যা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় সহায়তা করে।

৭. খরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে সহায়ক।

৮. খরমুজ বৃক্কে (কিডনি) পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে। এতে রয়েছে অক্সিকিন নামের উপাদান, যা বৃক্কের রোগ ও পাথর জমা থেকে রক্ষা করে। প্রচুর পানি থাকায় বৃক্ককে পরিষ্কারও করে।

৯. গর্ভাবস্থায় খরমুজ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। উচ্চমাত্রায় ফোলেট থাকায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে এ ফল।

১০. খরমুজে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট থাকায় নারীর পিরিয়ড নিয়মিতকরণে সহায়তা করে।

১১. খরমুজে থাকা পুষ্টি উপাদান স্নায়ু ও পেশিকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে, যা তন্দ্রাহীনতা দূর করে।

১২. খরমুজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

১৩. মানসিক চাপমুক্ত রাখতে খরমুজ অনবদ্য ফল। খরমুজ খেলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, যা আপনাকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করবে।

এতক্ষণ তো সুস্বাস্থ্যে খরমুজের নানা উপকারের কথা জানলাম। এখন জেনে নেওয়া যাক, কখন এ ফল খেলে উপকার পাওয়া যাবে বেশি। খরমুজ খেতে হবে সকাল ও দুপুরের খাবারের মধ্যভাগে।