
সুপ্রভাত বগুড়া (আকাশ সরকার রাসেল): রাজশাহী বিভাগের করোনা হটস্পট হয়ে উঠেছে বগুড়া জেলা। আজ ৬০০ ছড়িয়েছে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা খুব দ্রুত সংক্রমণ রাস্তায় অবাধ বিচরণ করছে অসচেতন নাগরিক কেউ ঘুরে বেড়ায় সুখে কেউ পেটের জ্বালায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারলে ঢাকা,নারায়গঞ্জ,চট্রগ্রামের মতো হতে পারে বগুড়ার অবস্থা। বগুড়ায় সংস্পশে আসার কারণে বাড়ছে রোগির সংখ্যা।
এরই ধারাবাহিকতা বগুড়ায় নতুন করে ৬০ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে
পুরুষ ৩৯ জন, মহিলা ১৬ জন ও শিশু ৫ জন। আজ ৬ জুন রাত ৯টায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এইনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৯ জনে দাঁড়ালো। এদের মধ্যে ৫৩ জন সুস্থ
হওয়ায় এখন ৫৭০ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সদরে ৫০ জন, কাহালু ৭ জন,
শেরপুর ২ জন এবং শিবগঞ্জ ১ জন।
শেরপুরে ২ জনের মধ্যে খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর গ্রামের ১ জন করোনায় আক্রান্ত।এদিকে আজ মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে এজেএম ইদ্রিস আলী (৬৭) এবং আশরাফুল ইসলাম (৫৬) নামের দুজন ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
এছাড়া উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি মরা গেছেন। আজ শনিবার ৬ জুন দুজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এরএমও ডাঃ শফিক আমিন কাজল। শনিবার ভোর ৫টায় দুপচাচিয়ার সাবেক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এজেএম ইদ্রিস আলী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শনিবার সকাল ১০টায় বগুড়া কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া এলাকার অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম (৫৬) মারা যান।
বগুড়ায় এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যে সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেল ১২ জন। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে আজ আমাদের হাতে শজিমেকের ১৮৮ ও টিএম এস এসের ৪৬টি নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে বগুড়ায় ৬০টি পজিটিভ এসেছে।