সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ষষ্ঠ সভায় কমিটির সদস্যরা তিন দফা সুপারিশ করেছেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির তিন দফা সুপারিশ জানানো হয়। এই সুপারিশে বলা হয়-
১) কোভিড-১৯ একটি সংক্রামক রোগ, যা হাঁচি-কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। জনসমাগম এ রোগের বিস্তার এর জন্য সহায়ক। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা এই যে, রোগ সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে না কমার আগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালু করলে রোগের হার বাড়ার আশংকা থাকে।
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ বিষয়ে ইতোপূর্বে ৭ই মে তারিখ, পরামর্শ প্রদান করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযোজ্য বিধি বিধানসমূহ সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
২. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগে হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন নামক ঔষধ ব্যবহারের ঝুঁকি সম্বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ ঔষধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার গাইডলাইনে এ ঔষধ না রাখার পরামর্শ দিচ্ছে। আইভারমেকটিন, কনাভালোসেন্ট প্লাজমা ও অন্যান্য অনুমোদন ছাড়া ঔষধ কেবলমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে অনুমোদিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে ব্যবহার না করার সুপারিশ করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এ সমস্ত ঔষধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছে।
৩. ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ ও অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা একই হাসপাতালে পৃথক পৃথক ব্যবস্থায় করার নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক, সাংগঠনিক, জনবল ও সরঞ্জামসমূহের বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে মনে করে।