সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: এ এক যুদ্ধের গল্প। যেখানে পাশাপাশি থাকেন রোগী ও ডাক্তার। পেশা আর পেশাদারিত্বের লড়াই এখানে সম্মুখ সমরে। একদিকে যেমন অভিযোগের অন্ত নেই অন্যদিকে তেমনি সব ঝুঁকি নিয়ে লড়াইটা কিন্তু লড়ছেন চিকিৎসকরাই।
করতালিতে করোনা যুদ্ধজয়ীদের বিদায়ী অভিবাদন। চিকিৎসা শেষে কেউ যখন ফিরছেন আপন ঠিকানায় তখন কেউ আবার তার জায়গা নিচ্ছেন আরোগ্যের বাসনায়। এই হলো কুর্মিটোলা হাসপাতালের বাইরের চিত্র। কিন্তু হাসপাতালের ভেতরের চিত্রটা কেমন? করোনা হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে অনুযোগ-অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বাই বটে।
তার হাল দেখতেই চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের যাত্রা ২৬ মার্চ থেকে করোনা চিকিৎসা শুরু করা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অন্দরমহলে। প্রথমবারের মতো এই হাসপাতালের অন্দরে কোনো গণমাধ্যম। প্রবেশটাও সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে।
করিডোরে ভর করেছে অদ্ভূত এক শূন্যতা। ভবনের ছয়তলায় ২ টি ওয়ার্ডে চলছে চিকিৎসা। এই হাসপাতালে করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন শ’দুয়েক রোগী। মুখাবয়বে ভয় আর আতঙ্ক চোখ এড়ায় না। তবে চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই।
পরিচয় প্রকাশের অনুমতিসহ আলাপ কয়েকজনের সাথে। গেণ্ডারিয়া থেকে আসা তিন সন্তানের মা তাহমিনা স্বামী হারিয়েছেন দিন দশেক হলো। এই হাসপাতালেই আইসিইউতে ছিলেন। নিজের চোখের সামনেই দেখতে হয়েছে জীবনসঙ্গীর প্রয়াণ।
চিকিৎসক আসেন না, নার্স দেখেন না, দুর্ব্যবহার, এমনকি প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডারও বইতে হয় নিজেকে। আবার চিকিৎসক-নার্সদের প্রতি ভালোবাসাও আছে। অনেকে ঠিকই বোঝেন ঢাল তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার হয়েও কি লড়াইটাই না লড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
ডাক্তাররাও নিরুপায়। অভিযোগ নির্দ্বিধায় স্বীকার করে জানাচ্ছেন সীমাবদ্ধতার কথা। তবু লড়াই চলছে, চলবে। আঁধার কেটে আলো আসবেই। তবে দেশের স্বাস্থ্যখাতের যে ভগ্নদশা আলোতে এলো তাও ভুললে বোধহয় চলবে না।
সূত্র: চ্যানেল ২৪