অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিততে পারবে কি ?

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিততে পারবে কি

বড় বড় চারটি নাম, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, অ্যাডাম জ্যাম্পা, অ্যাশটন অ্যাগার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিততে পারবে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এখানেই। এই চার বোলারকে কতটা সামলাতে পারবে টাইগার ব্যাটসম্যানরা, তার ওপরেই নির্ভর করছে সবকিছু।

চার বছর পর বাংলাদেশে আসা অস্ট্রেলিয়ার এই দলটা কিছুটা খর্বশক্তির। তবে সেটা মূলত ব্যাটিংয়ে। ওয়ার্নার-ফিঞ্চ-স্মিথ-ম্যাক্সি-স্টয়নিস না থাকাতেই। বোলিংয়ে কেবল প্যাট কামিন্স ছাড়া মূল সবাই আছেন। যথারীতি নতুন ও পুরনো দুই ধরণের বলেই সমান কার্যকর স্টার্কই হবেন মূল হুমকি। তাঁকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।

Pop Ads

এখানে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যদিও টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি ম্যাচ ছাড়া অন্য ম্যাচগুলোতে ভালো করেননি। তবে ওয়ানডে সিরিজে ফিরেই আগুনে বোলিং করেছেন। ৩ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েই বাংলাদেশে এসেছেন বাঁহাতি এই পেসার।

হ্যাজলউড সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কখনোই সেভাবে থিতু হতে পারেননি। কিংবা অস্ট্রেলিয়া তার থিতু হওয়ার প্রয়োজন দেখেনি, টানা খেলায়নি। মূলত টেস্টের জন্য তাকে জমিয়ে রেখেছে। তবে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, খারাপ করেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো শুরুর পর সাফল্য না পেলেও ওয়ানডেতে তিনিও ছিলেন দুর্দান্ত।

এমনিতে মিরপুরের উইকেটে তার সুবিধা করতে পারার কথা নয়। কেননা, এই উইকেটে গতি নেই, মুভমেন্ট নেই, বাউন্স নেই। তবে জশের যে স্কিলেরও কমতি নেই! সুইং করানোর ক্ষমতা তার সহজাত। উচ্চতার কারণে বাউন্স তিনি সব উইকেটেই কিছুটা আদায় করতে পারেন। বিশেষ করে, উইকেটে বল যদি গ্রিপ করে, স্টপ করে, হ্যাজলউডের বাড়তি বাউন্স বিপদের কারণ হতে পারে। ডানহাতি এই পেসার হুমকি হবেন মূলত নতুন বলে।

আমাদের এমনিতেই লিটন-তামিম-মুশফিক নেই। নতুন বলে স্টার্ক ও হ্যাজলউড তিন-চারটি উইকেট তুলে নিলে বড় বিপদ হয়ে যাবে। এছাড়াও পেস আক্রমণে আরও আছেন রাইলি মেরেডিথ। গতি অনেক, কিন্তু লাইন-লেংথ কিছুটা এলোমেলো। জেসন বেহরেনডর্ফ আছেন, উইকেটে সুইং-মুভমেন্ট না থাকলে বড় হুমকি হওয়ার কথা নয়। অ্যান্ড্রু টাই আছেন, স্লোয়ার-ইয়র্কার মিলিয়ে স্লগ ওভারে অনেক সময়ই দারুণ কার্যকর, তবে ধরাবাহিক না।

এছাড়াও আছেন একজন মিশেল মার্শ। মিরপুরের উইকেটে মোইজেস হেনরিকস ও ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের কাটারও তারা কাজে লাগাত চাইতে পারে। এই মেরেডিথ-বেনরেনডর্থ-টাই-মার্শরা, ধারহীন নন অবশ্যই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এইটুকু তো সামলাতে হবেই! যদিও স্টার্ক-হ্যাজলউডই গড়ে দিতে পারেন মূল পার্থক্য।