আগামীকাল মাঠে নামছে টাইগাররা, লক্ষ্য হোয়াইট ওয়াশ

আগামীকাল মাঠে নামছে টাইগাররা, লক্ষ্য হোয়াইট ওয়াশ

সুপ্রভাত বগুড়া (খেলা-ধুলা): সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বারের মত হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে আগামীকাল জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম ও শেষবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। সে সময় ক্যারিবীয় বোর্ডের সঙ্গে আর্থিক দ্বন্দের কারণে সিরিজটিতে অংশ নেয়নি দলের প্রথম সারির খেলোয়াড়রা।

এরপর তিনবার সিরিজ জিতলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের কারণে শীর্ষস্থানীয় ১২জন খেলোয়াড় এবার বাংলাদেশ সফরে না আসায় দ্বিতীয় সারির দলে পরিণত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুর্দান্ত পারফরমেন্সে এরমধ্যে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ যথাক্রমে ৬ ও ৭ উইকেটে জিতে টাইগাররা।

Pop Ads

ফলে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে লিড নিতে পারে বাংলাদেশ। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশী বোলারদের সামনে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্থনে একক প্রাধান্য বিস্তার করেই জয় পায় বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় আরো একটি জয়ের প্রত্যাশায় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিল সাকিব আল হাসান।

আইসিসি নিষেধাজ্ঞা শেষ করে মাঠে ফিরে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৮ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁ-হাতি এ স্পিনার। দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে জ্বলে ওঠেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। স্পিনারদের দাপটে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যথাক্রমে ১২২ ও ১৪৮ রানে অলআউট করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। যার মাধ্যমে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রতিপক্ষকে দু’বার ১৫০ রানের মধ্যে অলআউট করতে পারে বাংলাদেশ।

প্রথম দুই ম্যাচে সেরা পারফরমেন্সই প্রদর্শন করেছেন স্পিনাররা। তবে দলকে ভালো শুরুর পথ দেখিয়েছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। দু’টি ম্যাচেই দুর্দান্ত ইকোনমি রেট ছিলো মুস্তাফিজের। সুইং দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেন ফিজ।

তবে অতীতে এই দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ফলে টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন মুস্তাফিজ। সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল এরমধ্যে জানিয়েছেন, উইনিং কম্বিনেশন ভেঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়কে সুযোগ দেয়া হবে।

 

মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দিয়ে তাসকিন আহমেদকে খেলানো হতে পারে। আরেক পেসার শরিফুল ইসলামেরও অভিষেক হতে পারে। তৃতীয় ম্যাচের জন্য বিবেচনায় রয়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও।

 

তামিম বলেন, তাসকিন-সাইফউদ্দিনের মত খেলোয়াড় একাদশে জায়গা পাননি। দলে খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা চলছে।

 

তিনি আরও বলেন, এটি উদ্বেগের বিষয় নয় (এটি ভালো প্রতিযোগিতা)। সবারই খেলার সুযোগ পাওয়া উচিত। যারা এখনো খেলার সুযোগ পাননি, তারা সবাই ভালো করার সামর্থ্য রাখে। আমি নিশ্চিত তৃতীয় ওয়ানডেতে আমাদের কিছু পরিবর্তন হবে এবং আশা করি যে খেলোয়াড় সুযোগ পাবে, ভালো করবে।

 

এরমধ্যে ৪০টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যে বাংলাদেশ ১৭টি ও ক্যারিবীয়ানরা ২১টিতে জয় পায়। দু’টি ম্যাচে কোন ফল আসেনি। চলতি সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।

 

তবে নিজেদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের রথকে এখানেই থামাতে চায় সফরকারীরা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ে তুলে নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স বলেন, এখানে ৩০ পয়েন্টের জন্য এখানে আমরা এসেছি। এখনো আমাদের ১০ পয়েন্ট পাবার সুযোগ রয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, সবকিছু মিলিয়ে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। আমরা ১২২ থেকে ১৪৮ রান করেছি। তবে আমাদের ২০০-২৫০ রান প্রয়োজন। তাই আমাদের প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। বোলাররা ভালো বল করতে পারলে, সেরাটা প্রদর্শন করলে, তবে অবশ্যই দশ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব।