আদমদীঘিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুুত শহীদ মিনার

আদমদীঘিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুুত শহীদ মিনার। ছবি-শিমুল

সুপ্রভাত বগুড়া (আতিকুর হাসান, (আদমদীঘি বগুড়া): প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দুটি ভূখণ্ডের দুটি ভিন্ন ভাষার জাতিসত্তাকে মিলিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম থেকেই মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে সূচনা হয়েছিল আন্দোলনের। আর এই ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হতো।

এই ইতিহাস বাংলাদেশের অনেকেরই জানা। কিন্তু এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে রয়েছে আরও অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রেরণা যোগায়। এই সংগ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়েছেন সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে। পঙ্গুত্ব বরণ করেন বিশাল সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষী মানুষ।

Pop Ads

বাঙালির এই অকুতোভয় ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে আমদীঘিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শ্রুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শহীদ মিনারগুলো ঘুরে দেখা যায় দেয়াল লিখন, আলপনা ও দেয়াল চিত্রে  শহীদ মিনারগুলো ফুটে ওঠেছে ১৯৫২ সালের সেই কঠিন দিনগুলোর আবহ। অপরদিকে  শহীদ মিনারগুলোর মূল বেদীসহ সম্মুখভাগে শেষ হয়েছে আলপনা আঁকার কাজ।

লাল রং-এ লেখা হয়েছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শহীদ মিনারকে ঝকঝকে রাখতে অনবরত কাজ করে চলছেন। আদমদীঘি থানার (ওসি)জালাল বলেন,যে কোনোধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাঙালির এই অকুতোভয় ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে আমদীঘিতে সব প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছে।