আপনাকে বধির বানাতে পারে হেডফোন

আপনাকে বধির বানাতে পারে হেডফোন । প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (জ্ঞান-বিজ্ঞান): খাওয়া-দাওয়ার চেয়েও হেডফোনকে জরুরি করে নিয়েছেন অনেকেই। কাজ ছাড়া বাকি সময় কানে গুঁজে রাখেন হেডফোন। সঙ্গে হেডফোন রাখতে কখনই ভুলেন না। এটি ছাড়া জীবন-যাপনের কথা ভাবতেই পারেন না! যদি এমনই অভ্যেস হয় আপনার, তাহলে এখনই সাবধান হওয়ার সময়।

কারণ, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। এমনকি বধিরও হয়ে যেতে পারেন! এবার জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-

Pop Ads

শ্রবণে সমস্যা: হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি শব্দ কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন। হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পর পর কানকে বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না এবং হাই ভলিউমে গান কখনও শুনবেন না।

কানের ইনফেকশন: ইয়ারফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভাল। না হলে কিন্তু সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোনের মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।

বাতাস প্রবেশে বাধা: হেডফোন কোম্পানিগুলো এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্সের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। যাতে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে। বেশির ভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে ঝুঁকি থেকে কানের সমস্যার।

বধির হওয়ার সম্ভাবনা: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কানে ব্যথা: অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের জন্য অনেকেই কানে ব্যথা অনুভব করেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়।

মস্তিষ্কে প্রভাব: হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের এক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here