স্টাফ রিপোর্টার: মায়া মনি, বয়স ৯ বছর, আরো ১০টি শিশুর মতই স্বাভাবিক সুস্থভাবে জন্মগ্রহন করেছিল সে, বাবা মা অত্যান্ত যত্ন সহকারে তাকে ধীরে ধীরে মায়াকে লালন পালন করছিল। সেও অন্যান্য শিশুদের সাথে নিয়মিত খেলাধুলা ও স্কুলে নিয়মিত পড়ালেখা করতে যেত। কিন্তু তার এ প্রাণ চাঞ্চল্যে হঠাৎ করে বাধ সাধলো এক কঠিন অসুখ।
গত ১মাস আগে মেয়েটি হঠাৎ করে অসুস্থ অনুভব করলো, তীব্র জ্বর, শরীরের রং পরিবর্তন, খাবারে অরুচি, ঘন ঘন বমন ও বুকে ব্যাথা সহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে থাকলো। এ অবস্থায় বাবা মা বগুড়া শহরের একজন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ’র স্বরনাপন্ন হলেন। চিকিৎসক সকল পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে যে খবর শোনালেন সে খবরের জন্য বাবা মা মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না।
চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে জানালেন শিশুটির দুইটি হার্ট এ ছিদ্র হয়েছে। অতি জরুরীভাবে তার অপারেশন করাতে হবে। না হলে শিশুটির পরিনতি খারাপ হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। এতক্ষন যে শিশুটির কথা বলছিলাম সে হলো বগুড়া সদর উপজেলার দশটিকা গ্রামের পেশায় কাঠমিস্ত্রী আব্দুল মালেক ও মাতা শান্তনা বেগমের ৩য় মেয়ে। শিশুটি নিশিন্দারা হাজি ইয়াছিন আলী এবতেদায়ী মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেণীতে পড়ে।
শিশুটির বাবা আব্দুল মালেক জানান সে নিজেই দিন আনে দিন খায় অবস্থা তার উপর মেয়েটির এতবড় অসুখে তিনি হতাশায় ভুগছে। চিকিৎসক জানিয়েছে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তার পক্ষে এত বিপুল পরিমান টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই তিনি দেশের সকল বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।
সকলের সামান্য একটু সহযোগিতা তার মেয়েকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। শিশুটি বর্তমানে বগুড়ার শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ ডাঃ আতিকুর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন । তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।