আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো তাহাজ্জুদের নামাজ

সুপ্রভাত বগুড়া (ধর্ম ও জীবন): মধ্যরাতের পর ঘুম থেকে জেগে নামাজ পড়াকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলা হয়। ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে বেশি।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা প্রতিদিন শেষ রাতে প্রথম আসমানে এসে বলেন, তোমরা কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে কিছু চাইবে! আমি তাকে তা দেব। কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে! আমি তাকে ক্ষমা করে দেব (মুসলিম, মিশকাত ১০৯)।

Pop Ads

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামাজ পড়ায়, এমনকি সে যদি জেগে না ওঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন।

অনুরূপ কোনো মহিলা যদি রাতে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে এবং সে তার স্বামীকে নামাজের জন্য জাগায়, এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়, তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে (আবু দাউদ, নাসায়ী, মিশকাত)।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই দুই রাকাত করে এ নামাজ আদায় করতেন। তিনি কখনও চার রাকাত, কখনও আট রাকাত, কখনও ১২ রাকাত পড়েছেন। অন্যান্য নামাজের মতোই যে কোনো সূরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়।