এবারের লকডাউনে বাতিল হয় নাই পোশাক শিল্পের ক্রয়াদেশ

সুপ্রভাত বগুড়া (অর্থ ও বানিজ্য): করোনা মোকাবেলায় গত বছরের এই দিনে বন্ধ ছিল দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এতে বাতিল বা স্থগিত হয়েছিলো প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ। এবছর সংক্রমণ বাড়লেও, আগের বছরের পুনরাবৃত্তি চাননি শিল্প মালিকরা।

সরকার ঘোষিত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচল রেখেছেন কারখানা। এমন পরিস্থিতিতে ক্রয়াদেশ বাতিলের কোন ঘটনা নেই এখন পর্যন্ত। তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম, কম্পোডিয়া ও ভারত অন্যতম।

Pop Ads

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দফায় দফায় লকডাইন জারি করতে হয়েছে এসব দেশকে। তবে বন্ধ করা হয়নি তৈরি পোশাক কারখানা। যার সুফলও পেয়েছে দেশগুলো। অন্যদিকে, গেল বছর করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রায় দু’মাস দেশের তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল।

এতে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাতটি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ ঝুঁকিতে পড়ে। যদিও এর ৮০ ভাগই পরে ফিরে আসে। কিন্তু তৈরি হয় ক্রেতা হারানোর শঙ্কা। বিজিএমইএ পরিচালক ইমরানুর রহমান বলেন, চেষ্টা করবো যেন শিল্পটা এই কঠিন সময় পার করতে পারে। এখন আমাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

এমন বাস্তবতায় এবার কারখানা বন্ধের ঝুঁকি নেননি গার্মেন্টস মালিকরা। শিল্পটির অস্তিত্ব রক্ষা এবং ক্রেতাদের ধরে রাখতে সর্বাত্মক লকডাউনেও সচল গার্মেন্টস শিল্প। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোকে যদি আমরা চালু রাখতে পারি তাহলে আমাদের প্রতি বায়ারদের দৃষ্টি থাকবে। তাতে আমাদের ক্রয়াদেশ কমবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার এসব দেশ থেকে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়ার আশা করছেন উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের যে মার্কেটটা, যে ডেস্টিনেশনে ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডে এক্সপোর্ট করি তাদের ওখানে শপ ওপেন থাকবে। আমরা জানি যে, অনলাইন সেল বেড়েছে। সেটাতে আমরা যুক্ত হতে চেষ্টা করবো।