সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের মামলায় আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, রবিউল ইসলাম ও অর্জুন লস্কর। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১-এর বিচারক জিয়াদুর রহমানের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তারা। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে তাদের নেয়া হয় মহানগর হাকিম আদালতে। প্রথমে বিচারক জিয়াদুর রহমানের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় সাইফুর ও অর্জুনের।
পরে আরেক আসামি রবিউল ইসলাম বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সোমবার তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। আর কাল শেষ হচ্ছে অন্য ৩ আসামি মাহবুবুর রনি, রাজন ও আইনুদ্দিনের রিমান্ড। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রবাসে ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজের বন্ধ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে শাহ রনি ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে আসামি করে মামলা করেন ওই তরুণীর স্বামী। মামলার এজাহারের বাইরে আরো দু’তিনজনকে আসামি করা হয়। এজাহারভুক্ত ছয়জন আসামিসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। তারা সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
প্রথম পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হয় গত সোমবার। এ মামলায় সন্দেহভাজন দুই আসামিসহ তিনজনকে গত মঙ্গলবার এবং তৃতীয় পর্যায়ে তারেকসহ দুজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের রিমান্ড এখনো শেষ হয়নি।