কোটি টাকার সরকারি রাস্তা নষ্ট করছে মাটি বাহী ট্রাক্টরে !

কোটি টাকার সরকারি রাস্তা নষ্ট করছে মাটি বাহী ট্রাক্টরে। ছবি-প্রত্যয়

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,নওগাঁ : কোটি টাকার সরকারি রাস্তা নষ্ট করছে মাটি বাহী ট্রাক্টরে,প্রশাসনের ভুমিকা নিরব।সড়কের ঘাতক ট্রাক্টরের দখলে নওগাঁর আত্রাই  উপজেলার আত্রাই থেকে ভবাণীগঞ্জ  রাস্তাসহ সংযুক্ত সব রাস্তা। ঘাতক ট্রাক্টরের কারণে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে কাঁচা ও পাকা রাস্তা।

এছাড়াও এ সকল ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতীতে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট,বড় দুর্ঘটনা। গ্রামীণ সড়কের চলাচলকারী এবং রাস্তার পাশে বসবাসকৃত জনসাধারণ অবৈধ ট্রক্টরের জুলুমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সদর উপজেলা এলাকার মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর।

Pop Ads

চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর এখন অবৈধ ট্রাক বা পরিবহন হয়ে গ্রামীণ জনপদে সর্বনাশ ঘটাতে শুরু করেছে। যা সড়কের বেহাল দশা করে আবার ধুলিকনা সৃষ্টি করে। উপজেলা সদর থেকে রাজশাহী  বিভাগীয় সদরে  যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা বর্তমান পরিস্থিতি আজ এমন।কোটি টাকার রাস্তা আজ একটু বৃষ্টিতে যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

বেপরোয়া চলাচলে শব্দ দুষণেও আশপাশের গ্রামের মানুষ, রাস্তার চলাচলকারী জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার সবকটি ইট ভাটার ইট ও মাটি ও বালি পরিবহনের কাজেই মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে এসকল ট্রাক্টর।

এসকল ট্রাক্টরের নেই কোন বৈধ রোডপার্মিট। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ বছরের শিশু-কিশোররাও এসব ট্রাক্টর চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। যার ফরে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানী। ট্রাক্টর চলাচলের কারণে, এলাকার স্থানীয়রা বলেন, সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাঘাট ধ্বংস করছেন গুটিকয়েক ট্রাক্টরের মালিকরা।

তারা সল্পমূল্যে ফসলি জমি ও পুকুর খননের মাটি কিনে পরিবহনের ফলে বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট এবং ট্রাক্টরের চাকায় প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে মহাসড়ক সহ গ্রামের সদ্য নির্মিত কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা সড়কগুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অবৈধ যন্ত্রদানবের প্রতি স্থানীয় প্রাশাসন উদাসিন।

এলাকার প্রাভাবশালীদের খুঁটির জোরে এসকল ট্রাক্টর চলছে বহাল তবিয়তে।সোস্যাল মিডিয়া গত দুই তিন থেকে ফেসবুকে প্রতিবাদ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনেকে পোষ্ট করছে।সকলেই এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচল রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।একটু বৃষ্টিতে রাস্তা যেন মরন ফাঁদে পরিনত হচ্ছে।

কৃষি জমির উর্বর টপসয়েল কেটে সরবরাহ হচ্ছে পুকুর-দীঘিনালা ভরাটের কাজে। ট্রাক্টরের অত্যাচারের মুখে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোড পারমিট বিহীন ট্রাক্টর ও লাইসেন্স বিহীন চালকের কারণে দোকান পাট, রাস্তা-ঘাটের চলাচলকারী মানুষ সার্বক্ষনিক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। বিকট শব্দে মাটি বোঝাই নিয়ে সাদা পাউডারের মত ধুলো উড়িয়ে ধাবিয়ে চলছে এসকল ট্রাক্টর।

এবিষয়ে পথচারিদের সাথে কথা বল্লে তারা খিপ্ত হয়ে বলেন, এ গাড়ি চলাচলের সময় আশপাশ এলাকায় কুয়াশার মতো ট্রাক্টরের সৃষ্ঠ ধুলোয় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতাযাত করায় সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা।

আর একটু বৃষ্টিতে রাস্তা যেন মরন ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। অতি দ্রুত মানুষের জীবন অতিষ্ঠকারী এসব যন্ত্রদানব প্রতিরোধ করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এসব জয়গার বসবারত এলাকাবাসী।এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রাক্টর বন্ধের দাবি করে বলেন, আমরা বুঝতে পারি না, ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের কাজটি কেন এতো কঠিন।

ট্রাক্টর চলাচলে যাদের স্বার্থ রক্ষা হয়, তারা কি অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সকল কিছুর উর্ধেব সর্বশ্রেষ্ঠ আদালত নিজের বিবেকের রায়ে স্বার্থ জলাঞ্জলির কথা মোটেও ভাবতে পারেনা? সব শেষে এলাকাবাসীর একটাই দাবী যতদ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন। যেন বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত এর প্রতকিার পায় এলাকাবাসী। আর যেন প্রভাবশালীদের কাছে মাথা নত না করে ব্যবস্থা গ্রহন করেন এমানটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।