সুপ্রভাত বগুড়া (চাকুরী কর্মসংস্থান): গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গতকাল দিনভর চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবী মানুষ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকেই গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানসহ সব বিপণিবিতান বন্ধ ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, গার্মেন্টসহ অন্যান্য অফিস, ব্যাংক-বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল।
এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহন বিশেষ করে সিএনজি, রিকশা, অটোরিকশায় দি¦গুণ, কোথাও কোথাও তিন গুণ ভাড়া দিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় মানুষের। সেই সঙ্গে বিকল্প পরিবহন কম থাকায় দুর্ভোগও পোহাতে হয় যাত্রী সাধারণের।
সকাল থেকে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, শাহবাগ, ফার্মগেট, গাবতলী, মিরপুর, শ্যামলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে অফিসগামীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণপরিবহন না চলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককে।
মাঝে মাঝে দু-একটি সিএনজি অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিংয়ের গাড়ি দেখা মিললেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ছিল। অনেকেই হুড়োহুড়ি করে বিকল্প পরিবহনে ওঠেন। ভাড়াও গুনতে হয় দি¦গুণের বেশি। গতকালও ছিল ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ।
ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই রাজধানী ছাড়তে দেখা যায় অনেককে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল প্রচ-। অভিযোগ উঠেছে, ৩-৪ গুণ ভাড়া গুনে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছেন যাত্রীরা।