গরমে আপনাকে সতেজ রাখবে বেলের শরবত

গরমে আপনাকে সতেজ রাখবে বেলের শরবত।-সুপ্রভাত বগুড়া

সুপ্রভাত বগুড়া (জীবন-জীবীকা): গ্রীষ্মের তাপ ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। গরমে হাঁপিয়ে উঠছে সবাই। শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য খাদ্য তালিকায় কত প্রকার পানীয় থাকে। এছাড়াও কিছুক্ষণ পরপর ফ্রিজ খুলে ঠাণ্ডা পানি, শরবত ও বরফজাতীয় খাবার খাওয়া হয়।

তবে পুষ্টিবিদদের মতে পুষ্টিকর কিছু খেয়ে তৃষ্ণা মেটানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাই তো বেলের শরবত খাওয়ার জন্য বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে বেলের শরবত খুবই উপকারে আসে।

Pop Ads

এছাড়াও পুষ্টিগুণে বিশেষ অনবদ্য এই বেল। এক গ্লাস বেলের শরবত খাওয়ার ফলে সারাদিনের ক্লান্তিভাব মুছে শরীরকে চাঙা করে তুলে। অবসাদ কাটিয়ে তুলতেও বেশ কার্যকর।

বেলের শরবতের উপকারিতা : নিয়মিত বেলের শরবত খাওয়ার ফলে শরীরে বিটা ক্যারোটিন, প্রোটিন, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন-সি, বি এবং বি২, থায়ামিন, নিয়াসিন, ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবার জাতীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিয়মিত এই শরবত খাওয়ার ফলে শরীরের বদহজম দূর হয়। এছাড়াও আলগা গতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সেই সঙ্গে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে। পেটের ব্যথা দূর করা ছাড়াও যাদের আমাশয় রয়েছে তাদের এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা হ্রাস পায় এবং খুব সহজে হজম হয়। বেল এমন একটি ফল যাতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

বেলের শরবত তৈরির প্রণালী-প্রক্রিয়া : বেল ১টা, দুধ বা দই ১/২ কাপ, পানি ৪ কাপ, চিনি স্বাদ মতো। শরবত বানানোর আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন বেল। পানি থেকে তুলে নিয়ে বেলের আঠা ও বীজ ফেলে দিয়ে চটকে ভালো করে ছেঁকে নিন।

দইয়ের সঙ্গে চিনি ও পানি মিশিয়ে ভালো করে মেশানো শুরু করেন। এখন দই, পানি ও চিনির মিশ্রণ বেলের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

সতর্কতা : ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বেলের পানি বেশি খাওয়া একদমই উচিত হবে না। উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেলের শরবত খাওয়া উচিত। এছাড়া কার্ডিয়াক রোগীদের বেলের শরবত খাওয়া একদমই উচিত নয়।