বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় অন্তত সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসন জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী।
চলতি পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৬টি পর্যটকবাহী চলাচল করছে। এসব জাহাজে প্রতিদিন অন্তত ৫ সহস্রাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন বেড়াতে যান। আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিন্মচাপটি উত্তর-পশ্চিমে সরে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এতে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সবধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও পারভেজ বলেন, সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী সোমবার পর্যন্ত ওই নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
‘শনিবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী ৬টি জাহাজে অন্তত ৫ সহস্রাধিক পর্যটন প্রবাল দ্বীপে বেড়াতে গেছে। জাহাজগুলো বিকালে টেকনাফ ফেরার আগে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতির ব্যাপারে পর্যটকদের অবহিত করা হয়েছিল।
যদি পরিস্থিতি অবনতিশীল হয় তাহলে রোববার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধের বিষয়টি পর্যটকদের অবগত করা হয়।’ ইউএনও বলেন, ‘এরপরও অনেক পর্যটক জাহাজে করে টেকনাফ না ফিরে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করেন। সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিরূপ হওয়া প্রশাসন রোববার থেকে দুইদিনের জন্য আপাতত জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে।
এ নিয়ে শনিবারের আগেও অবস্থান করাসহ অন্তত সহস্রাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে।’ তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পারভেজ চৌধুরী।