জনগণের ভোট চুরি করে কেউ পার পায়নি : প্রধানমন্ত্রী

জনগণের ভোট চুরি করে কেউ পার পায়নি প্রধানমন্ত্রী

জনগণের ভোট চুরি করে কেউ পার পায়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করে বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, তারা শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষই তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

Pop Ads

আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়নের চাকাটা গতিশীল থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হতাম, তাহলে পর পর তিনবার আমরা ক্ষমতায় আসতে পারতাম না। বাংলাদেশের উন্নয়ন ‘যারা চোখে দেখে না’, যারা সমালোচনা করছে, তাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ঘেউ ঘেউ করতে থাকুক, তাতে আমাদের কিচ্ছু আসে যায় না।

দেশের উন্নয়ন দেখেও যারা না দেখার ভান করেন তাদের চোখে ঠুলি পরা, খুনিদের ঠুলি, যুদ্ধাপরাধীদের ঠুলি। এরা দেশের উন্নয়ন দেখে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি মহল দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, আইভী রহমানের হত্যাকারী। সেই হত্যাকারীরা আজকে সব থেকে বেশি সোচ্চার। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা এই সংগঠন নিজের হাতে গড়ে দিয়ে গেছেন।

অনেক ঘাত, প্রতিঘাত সয়ে আমরা এই সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছি। আর একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করে। উন্নয়নের গতিধারাটা অব্যাহত রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।