জামিনে মুক্ত বগুড়ার বহুল আলোচিত তুফান সরকার

জামিনে মুক্ত বগুড়ার বহুল আলোচিত তুফান সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় বহুল আলোচিত তুফান সরকার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। বগুড়ায় তিন বছর আগে ছাত্রী ধর্ষণ ও ভুক্তভোগী মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন এই তুফান সরকার। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় বগুড়া কারাগার থেকে বের হন তিনি। জানা গেছে, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা চলমান ছিল।

সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মা-মেয়ে দুজনই বলে, ঘটনার স্থান, কাল, কিছুই তারা জানেন না। তুফান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগও নেই। কোনো ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি। তুফানের সাথে তাদের ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। মামলার এজাহারে বর্ণিত অভিযোগ সত্য নয়। জোরজবরদস্তি করে মামলার এজাহারে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এজাহারে কী লেখা আছে, সেটাও নাকি তারা পড়ে দেখেননি। এর আগে একাধিক মামলায় জামিন হলেও ভিন্ন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট থাকার কারণে তাঁর মুক্তির পথ রুদ্ধ হয়ে ছিল।

Pop Ads

এর মধ্যে আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ এবং মাথা ন্যাড়ার মামলাটি বাদী পক্ষ আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলা করার অভিযোগ এনে এফিডেফিট করেন। এ কারণে অনেক আগেই আলোচিত এ মামলায় তুফান সরকারের জামিন হয়। এরপরও অন্যান্য মামলা থাকায় দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন।

সর্বশেষ মানি লন্ডারিং আইনে করা এক মামলার শুনানি শেষে হাইর্কোট গত ৫ জানুয়ারি তুফান সরকারের জামিন দেন। এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নথিপত্র গত ১০ জানুয়ারি বগুড়া কারাগারে পৌঁছায়। পরে ওই দিনই কারাগার থেকে বের হন তুফান সরকার। এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সদর থানায় করা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে যান তিনি।

কারাগার সূত্র জানায়, তুফানের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো হলো জিআর ৮৭৫-২০২২ (মানি লন্ডারিং), জিআর ২৪৭-২৪৮-২০১৮ (নারী ও শিশু নির্যাতন), জিআর ১৫৬৫-২০১৮ (দুদক আইন), জিআর ৭-২০১৮ (দুদক), জিআর ১০০৫-১৩, জিআর ৯৮-১৬, জিআর ৮২৭-১৫ এবং জিআর ১৯৬-১২। বগুড়া কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, গত ১০ জানুয়ারি তুফান সরকারের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগার থেকে সে মুক্তি পায়।