জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করে যাব : আইভী

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করে যাব আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নিবার্চনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। ভোটে জয়ী হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসময় আইভী সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন। এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞা জানান। ১৯২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইভীর কাছে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটে পরাজয় হয়েছে স্বতন্ত্রী প্রার্থী তৈমুরের।

ভোট চলাকালে ছিল না বড় কোনো অভিযোগও। তবে ফল আসার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে বলে দাবি করেন তৈমুর আলম খন্দকার। তৈমুরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইভী বলেন, “ভোট গ্রহণ কিছুটা ধীর গতিতে হয়েছে, তবে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হয়নি। আর যদি কোন কারচুপি হতো সেটা নিশ্চয় গণমাধ্যম কর্মীদের চোখে পড়তো।

Pop Ads

কারণ এবারের মতো এত সংবাদ মাধ্যম আমি আর কখনও দেখি নাই।” এসময় আইভী বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের জন্য যে নারায়ণগঞ্জবাসী আমাকে আবারও সুযোগ করে দিয়েছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি কথা দিচ্ছি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি তাদের জন্য কাজ করে যাব। এছাড়া আমার দল এবং আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে ভরসা রেখেছিলো সেটা যে আমার জনগণ পূর্ণ করেছে তার জন্যও আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।”

আগের দুই নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে কতটা চ্যালেঞ্জ ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, “আসলে প্রতিবারের নির্বাচনই ছিলো চ্যালেঞ্জিং, এটাও তার ব্যতিক্রম না। এক একটার ধরন ছিলো এক এক রকম। নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা সেখানে সব কিছুকে অতিক্রম করেই জয় পাওয়ায় মধ্যেই আমাদের সাফল্য।

তবে আমার আজকের ও অতীতের সকল জয়ের মূলে রয়েছে এখানকার জনগণের ভালোবাসা ও জনসমর্থন।”
নব নির্বাচিত মেয়র আরো বলেন, “তবে, এটুকু বলতে পারি যে আমি কোনদিন কোন মিথ্যা আশ্বাস দেই নাই জনগণকে। আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সহজ সরলভাবেই এই জনগণের সঙ্গে মিশেছি কাজ করেছি। যেটা পেরেছি সেটাই বলেছি যেটা পারি নাই সেটা বলি নাই।”

গতবারের মতো এবারও পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আইভী বলেন, “হ্যা যাবো। চাচা অনুমতি দিলেও যাবো না দিলেও যাবো” ২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।