সুপ্রভাত বগুড়া (বিনোদন): ঈদ মানেই আনন্দ। তবে দুই বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে সবার। এবারও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজ তারকারাও স্ব স্ব স্থানে ঘরবন্দী হয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।
শাকিব খান:
এই ঈদে গতবারের মতোই আমি বাসায় থাকব। ঈদের নামাজ পড়ব কি না এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। বাবা-মাসহ ঘরের মধ্যেই দিনটি কাটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বুবলী :
গত ঈদটা করোনার মধ্যে কাটিয়েছি। এবারেরটাও সেই একই করোনায়। তাই এই সময় ঘরের বাইরে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। ঈদের দিন বাসায় পরিবারের সঙ্গেই কাটাব। এছাড়া প্রতি ঈদে আমার হাতে তৈরি করা একটি স্পেশাল আইটেম থাকে খাবারে। এবারও ইচ্ছা আছে গরুর মাংসের কোনো একটি স্পেশাল আইটেম রাখার।
শাবনাজ-নাঈম :
করোনার এই সময়টায় আমরা দুজন টাঙ্গাইল থাকব। আমার দুই মেয়েসহ ঈদ এখানেই পালন করব।
ববিতা-চম্পা-সুচন্দা তাঁরা তিন বোনই ঈদের দিনটা তাঁদের নিজ নিজ বাসায় কাটাবেন। করোনার কারণে একজন আরেকজনের বাসায় যাওয়ারও কোনো ইচ্ছা নেই তাঁদের।
সাইমন :
ঈদ বরাবরই আনন্দের। এটাও সত্য করোনার এই সময় ঈদ উদযাপনে আগের মতো উৎফুল্লতা আসবে না। এরপরও মানসিকভাবে ঈদের উৎসবটা অনুভব করি। এছাড়া ঈদের দিন বাবা ও ছেলের সঙ্গে তিন প্রজন্ম মিলে ঈদের নামাজ পড়ি। এরপর বাসায় এসে পরিবারের সবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও বিকালের পর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। ঈদটা আমার কাছে এমনই।
ববি :
ছোটবেলায় ঈদটা ছিল অনেক আনন্দের। এখন তো আর বাবা নেই। বাবাকে খুব মিস করি। তখনকার ঈদ ছিল খুশির আর এখনকার ঈদ দায়িত্বের। করোনার কারণে সময়টা সবারই খারাপ যাচ্ছে। এরপরও কিছুটা শেয়ারিং-কেয়ারিং থাকে একে অন্যের প্রতি। ঈদে কাছের-দূরের সবাইকে উপহার দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ পাই বেশি।
পিয়া জান্নাতুল গতবারের ঈদ ঘরে কাটিয়েছি, এবারের ঈদও ঘরে কাটাব। তবে আমার সন্তান অ্যারেসের জন্য এবারের ঈদ অনেকটাই স্পেশাল। সারা বছর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ঈদে চেষ্টা করি পুরোটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতে। পরিবারকে ঘিরেই আবর্তিত হয় আমার সব ঈদ আনন্দ।
চঞ্চল চৌধুরী :
ঈদ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। তারপর আবার করোনার সময়। বাসায় আইসোলেশনে আছি। ফ্যামিলির সঙ্গে সময় দিয়ে, খেয়ে, ঘুমিয়ে আর আমার নাটক দেখে ঈদের সারা দিন কেটে যাবে। আগে ৮-১০টি কাজ করেছি, সেগুলো ঘরে বসে দেখব আর সম্ভব হলে বন্ধু শাহনাজ খুশি ও বৃন্দাবন দার বাসায় যেতে পারি। তবে একটা কথা বলা উচিত, জীবন বাঁচলে ধর্ম-উৎসব পালন করা যাবে। তাই নিজে ঘরে থাকবেন, অন্যকে উৎসাহিত করবেন ঘরে থাকতে। কারণ এই সময় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমার অনুরোধ, কেউ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। আমি ঘরে থাকছি, আপনিও থাকুন। আর ঈদে অসহায় মানুষের পাশে থেকে আনন্দ ভাগাভাগি করুন।
রুনা খান :
ঈদে ঢাকায়ই আছি। স্বামী-মেয়ে তো সঙ্গেই আছে। আর বাবা-মা, দুই ভাই সবাই তো ঢাকায়ই। দুই ভাই আমার পাশাপাশি বাসায় থাকেন। তাই ঈদ হবে পরিবারের সঙ্গে। এই লকডাউনের সময় যতটা সাবধানতা নিয়ে ঈদ পালন করা যায়, সেটাই করব।
ঈশিতা :
ঈদে বাসায় থাকব। বলতে পারেন, একজন আদর্শ নাগরিক হয়ে লকডাউন পালন করছি। প্রায় দেড় বছর ধরে তো বাসায়ই আছি। আমার কিন্তু একটানা বাসায় থাকতে বিরক্ত অনুভব হয় না, ভালোই লাগে। বাসায় হাজব্যান্ড, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ভালো সময় কাটে। আর যেহেতু বাসায় বাচ্চারা আছে, তাই ঈদে তাদের জন্য রান্না করব। এই কঠিন সময় বাচ্চাদের তো বাসায় থাকতে বিরক্ত লাগে। তাই তাদের জন্য এই রান্নাবান্না দিয়েই খুশি রাখতে হয়। আর তাদের জন্য অনলাইনে কিছু রং-ক্রাফট অর্ডার দিয়ে এনেছি। ছোটবেলায় ভাতের কথা শুনলে আমার কান্না পেত। আর এখন তো দেশি খাবার ভাত, ভর্তা, খিচুড়ি আমার খুবই প্রিয়।
শতাব্দি ওয়াদুদ :
ঈদ ঢাকায়ই কাটবে। পরিবার তো ঢাকায়। তাদের সঙ্গে কিছু সময় দিব। আর মা থাকেন কলাবাগানে, সেখানে যাব ঈদের আগের দিন। একসঙ্গে ঈদ করব। সময়-সুযোগ হলে মগবাজারে যাব বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি করতে। ঈদে একক নাটক করিনি। দীপ্ত টিভিতে সিরিয়াল করেছি। আর আগের কিছু কাজ আছে, সেগুলো প্রচার হবে।
কুসুম সিকদার :
ঈদে ঢাকায়ই থাকব। আমি আর আমার বর একসঙ্গে ঈদ করব। বাবা-মা তো ঢাকায়ই থাকেন। তাই তাঁদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা রয়েছে। তবে সেফ মনে করলে। তাঁদের তো বয়স হয়েছে! সেফ মনে না হলে তাদের সঙ্গে ফোনে বা ভিডিও কলে কথা বলব। আর ঈদের রান্নাবান্না? সেটা অবশ্য আমার মুডের ওপর নির্ভর করে। মুড ভালো থাকলে করব, মুড না আসলে করব না!