জেনে নিন সবজির কিছু আশ্চর্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সুপ্রভাত বগুড়া (রান্না-বান্না): আমরা ছোট থেকে জেনে এসেছি সবজি মানবদেহের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেহের সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় সবজি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু সবজির কিছু আশ্চর্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে এ বিষয়টি হয়তো প্রায় অনেকের অজানা। তবে চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই। এ সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব বেশি ক্ষতিকারক নয়।

অনেক বেশি সময় নিয়ে আপনাকে বিরক্ত মোটেও করবে না। চলুন সেরকম ৪টি সবজি সম্পর্কে জানি যাদের মাঝে অদ্ভুত কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে যে সবজিটির কথা বলবো সেটা অনেকের পছন্দের একটি সবজি। নাম মাশরুম। শুরুতে আমাদের দেশে খুব একটা প্রচলন না থাকলেও দিনে দিনে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। ভিটামিন-ডি এর অন্যতম উৎস হলো মাশরুম। অনেকের শরীরে অ্যালার্জির কারণে ভয়ানক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

Pop Ads

তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা নেই তাদের তেমন একটা ক্ষতি করে না। তবে ফুসকুড়ির মত এক প্রকারের চর্মরোগ হয়ে থাকে। মাশরুম খেলে এমন ফুসকুড়ি উঠা খুবই একটা সাধারণ ব্যাপার। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এ সমস্যাও দূর করা সম্ভব খুব সহজে। মাশরুম অবশ্যই তাজা হতে হবে এবং ভালো করে রান্না করে খেতে হবে। এবারে আসি গাজর নিয়ে কিছু কথায়। কমলা রঙের এই সবজি আপনার ত্বককেও কমলা বর্ণের করে দিতে পারে।

এই আশ্চর্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটি ঘটতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খেলে। কারণ গাজরে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন। কমলা বর্ণ মূলত লক্ষ্য করা যায় পায়ে, হাতে এবং পায়ের তালুতে। শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিটা ক্যারোটিন রক্তের কোনো কাজে আসতে না পেরে চামড়ার নিচে জমে যায়। যা ধীরে ধীরে চামড়ার রঙ পরিবর্তন করতে থাকে। শুধু অতিরিক্ত গাজর খেলেই এমনটা হয়না। বরং মিষ্টি কুমড়া এবং মিষ্টি আলু খেলেও এমনটা ঘটে থাকে।

বিটরুট নিয়ে কি কখনও কিছু ভেবেছেন? বিটরুট ঠোট কমলা করে দিতে পারে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবহারে সেটা হয়তো অজানা নয় কারো। আপনার কি অবাক লাগবে না যদি আপনি গোলাপি প্রস্রাব করেন! অতিরিক্ত বিটরুট খেলে প্রস্রাবের বর্ণে সাময়িক এই পরিবর্তন আসে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ এটা ভয়ানক কোনো জটিলতা নয়।

শীতকালের অন্যতম একটা সবজি ফুলকপি। পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো হাতে গোণা খুবই অল্প সংখ্যক। ফুলকপি খেলে দেহে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তিকর নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাদের মাঝে গ্যাসজনিত সমস্যাটি অন্যতম। ফুলকপি অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সহজে হজম করা যায় না। ফুলকপিতে অনেক বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

অনেক বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট হজম করতে হলে পাকস্থলীর পর্যাপ্ত এনজাইম প্রয়োজন। কিন্তু এত বেশি এনজাইম পাকস্থলীতে না থাকায় হজম বিঘ্নিত হয়। যার ফলে পেতে ব্যথা অনুভূত হয়। তবে এ সকল সমস্যা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোর কিছু নেই। এমনকি ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু মাথায় রাখতে হবে শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। সব কিছুই নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে।