জয়পুরহাটে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হুমকি, সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা

145

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাটঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এতে ওই ইউনিয়নে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম ধাপে আওলাই ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। তবে ইব্রাহিম হোসেনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক তাওহীদ চৌধুরী। সেখানে প্রার্থিতা বাতিল হলে ইব্রাহিম উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৬ ফেব্রুয়ারি ইসি ওই নির্বাচন স্থগিত করে। পরে ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতসহ চেয়ারম্যান পদে চার, সাধারণ সদস্য পদে ৩২ ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা ২৪ হাজার ৬৫৫ জন ভোটারের ভোট টানতে নির্ঘুম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নির্বাচনের দিন যতই কাছে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের উদ্বেগ-শঙ্কা ততই বাড়ছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। একই কারণে ভোটাররাও জানিয়েছেন নানা শঙ্কার কথা। স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক, ওবায়দুর রহমান ও তাওহীদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ভোটারদের এই বলে হুমকি দিচ্ছেন- তারা নৌকায় ভোট দিলে যেন কেন্দ্রে যান। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটাররা। পাইকরদাড়িয়া গ্রামের বুলু মন্ডল, মুগরচন্ডীপুর গ্রামের আসাদ হাসান, আওলাই গ্রামের যুথিষ্ঠির চন্দ্র, শন্তাদিগর গ্রামের এরশাদ মন্ডলসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটার অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি এসে হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় তারা সুষ্ঠুভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়নে মানুষ ভালোবেসে নৌকায় ভোট দেবেন, আমার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সত্য নয়।’ এত উদ্বেগ-আশঙ্কা প্রকাশ সত্ত্বেও নির্বাচন কর্মকর্তারা শুনিয়েছেন আশ্বাসের কথা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিয়া জানান, ‘নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। সুতরাং প্রার্থী বা ভোটারদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’

সুপ্রভাত বগুড়া/ এম রাসেল আহমেদ

Pop Ads