জয়পুরহাট জমিতে এন্টাকল ব্যবহারে পুড়ে গেছে কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমির আলু !

জয়পুরহাট জমিতে এন্টাকল ব্যবহারে পুড়ে গেছে কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমির আলু ! ছবি-এম রাসেল

সুপ্রভাত বগুড়া (এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট): জয়পুরহাট জেলার কালাইয়ে আলুর ক্ষেতে বায়ার কোম্পানীর এনট্রাকল কীটনাষক ঔষধ ব্যবহার করে কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমির আলুর ফসল গেছে পুড়ে। এমন অবস্থায় চড়া দামে আলু চাষ করে দিশেহারা এখান কার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। ওই কোম্পানীর ডিলার আর প্রতিনিধিরা প্রতারনা করেছে, এমন অবস্থায় তাদের শাস্তি ও ক্ষতি পূরনের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বালাখুর ও সমশিরা গ্রামের কৃষকরা স্থানীয় বাজারের মেসার্স ইসলাম টেডার্সের স্বত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেনের পরামর্শে আলুর জমিতে বায়ার কোম্পানীর এনট্রাকল নামক ঔষধ নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করেন। স্প্রে করার দু-দিনের ভেতরে আলুর গাছ পুড়ে যেতে থাকে। আর সপ্তাহ যেতেই প্রায় ২০ বিঘা জমির আলু শেষ।এমনঅবস্থায় লোকশানের মুখে কৃষকরা।

Pop Ads

কেমন করে তাদের এই ক্ষতি পূরন হবে সেই হতাশায় সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃকরা। এবার বিঘা প্রতি আল ুচাষে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন তারা। যেখানে ২০ বিঘা আলুচাষে খরচ হয়েছে চার লক্ষ টাকার উপর, যেখান থেকে আলু উৎপাদন হতে বিঘা প্রতি একশত মণ করে ২হাজার মণ, যার বাজার মূুল্য হতো প্রায় ৫শত টাকা দরে ১০লক্ষ টাকা । এ তথ্য দেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকগণ।

অভিযোক্ত ডিলার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলছেন এতে আমার কোন দোষ নেই, কৃষকের ক্ষতি হয়েছে আমি কোম্পানীর প্রতিনিধিকে জানিয়েছি তারা কৃষককের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন।ক্ষতিপুরণ দিতে হলে কোম্পানি দিবেন।আমি সর্বাত্বক সহযোগিতা করব। আর কোম্পানীর প্রতিনিধি ইত্তেফাক আলম, টেরিটরীঅফিসার, বায়ার, জয়পুরহাট, আলুর ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সমস্যার কথা আমাদের বড় অফিসারের কাছে জানিয়েছি তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

কালাই উপজেলা কৃষি কর্মতর্তা নীলিমা জাহান বলছেন বিষয়টি আমরা শুনেছি এবং কোম্পনীর সাথে কথা বলেছি তারা কৃষকের ক্ষতি পূরনের বিষয় আশ্বাস দিয়েছেন । আর সাধারন কৃষকদেও প্রশ্ন করা হয় যে আপনাদেও এলাকায় কৃষি কর্মকতা গণ কোপন প্রকার পরার্মশ দিতে আসেন কিনা তারা বলেন আসেন না।এ ব্যপারে কৃষি কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কথা বললে তিনি জানান জনবল কম থাকায় তারা কৃষকদের ঠিকমতো পরামর্শ দিতে পারেননা।