জয়ার সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যের অসাফল্যের কারণ

জয়ার সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যের অসাফল্যের কারণ

তার প্রেমে পাগলপারা দুই বাংলার মানুষ। নেটমাধ্যমে তার অনুরাগীর সংখ্যাও অগণিত। তিনি কী করছেন, কোন পোশাক পরছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন- এইসব নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তবে লাস্যময়ী তারকা জয়া আহসানের থেকেও মানুষ বেশি কৌতূহল তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। তার ‘গুডবুক’-এ থাকতে চান এমন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই এই নায়িকা এই মুহূর্তে কোনো সম্পর্কে আছেন কি না- তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তিনি যে একসময় গভীর প্রেমে ছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারোরই।সদা লাস্যময়ী জয়ার প্রথম স্বামী ফয়সাল আহসান উল্লাহ। ফয়সালকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন এই তারকা। জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন বিত্তবান।

Pop Ads

জয়ার সঙ্গে ফয়সালের দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই প্রথম দেখার কথাটাই ফয়সাল বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। ফয়সালের ভাষ্যমতে, একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে জয়ার সঙ্গে প্রথম দেখা ফয়সালের। শুরুটা হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। সময় মতো আসতে পারেননি ফয়সাল, যে কারণে মেক-আপের পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয়াকে।

রেগে গিয়ে কথা শোনাতেও ছাড়েননি জয়া। এই রাগই অবশ্য অনুরাগে বদলাতে বেশি সময় লাগেনি। ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। গভীর প্রেমে পড়েই ফয়সালকে বিয়ে করেছিলেন জয়া। কিন্তু তাদের ১৩ বছরের দাম্পত্য কেন স্থায়ী হল না- তা আজও রহস্য।

জমিদার ঘরণী হয়ে জয়ার গুছিয়ে সংসার করা, একে অপরের প্রতি কতটা অনুরক্ত ছিলেন তারা? তাদের কাছের মানুষরা জানেন এসব কিছুই। এত কিছুর পরেও কেন ভেঙে গিয়েছিল তাদের সাজানো সংসার? এসবের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত পাওয়া যায় ফয়সালের কাছেই। ঠিক কী কারণে ভেঙে গিয়েছিল সেই সংসার, এত দিন পর তার পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফয়সাল আহসান বলেন, বিয়ের পরেও একসঙ্গে কাজ করছিলেন দুজনে। হয়ে উঠেছিলেন জনপ্রিয় তারকা জুটিও। এরপরই ছন্দপতন। কোথাও যেন জনপ্রিয়তা বাড়ছিল জয়ার। তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন ফয়সাল।

এই সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যের অসাফল্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে বাড়তে থাকে মনোমালিন্য। দূরত্ব ক্রমশ বাড়তেই থাকে। চেষ্টা করেও যা ঠিক করতে পারেননি ফয়সাল। যার পরিণতি হয় বিচ্ছেদ! ২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে যান তারা। এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি দু’জনের কেউই।