দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম

দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম

দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

চট্রগ্রামে শনিবার সকাল থেকে টিকা নিতে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সিটি করপোরেশন এলাকা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৩২৬টি কেন্দ্রে করোনারভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ১৯০টি ইউনিয়নের টিকাদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলায় ইউনিয়ন রয়েছে ১৯০টি।

Pop Ads

এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১৫টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৯টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১১টি, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৪টি, কর্ণফুলি উপজেলায় ৫টি, পটিয়া উপজেলায় ১৭টি, রাউজান উপজেলায় ১৪টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ৯টি, মিরসরাই উপজেলায় ১৬টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ৯টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৭টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ১৭টি, হাটহাজারী উপজেলায় ১৪টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে।

কুষ্টিয়াতেও ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। জেলার ৬৪ ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার মোট ৯৭ টি কেন্দ্রে করোনার এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোর ১ নম্বর ওয়ার্ডগুলোতে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নগুলোর ১ নং ওয়ার্ডের মোট তিনটি গ্রামের মানুষ এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। একেকটি কেন্দ্রে মোট তিনটি বুথে ৬০০ জন মানুষের টিকা দেওয়া হবে। সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৬২ হাজার ৪শ’ জনকে টিকা দেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল জেলার সকল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ভাবে কোভিড-১৯ এর টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা.আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দীন খান আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ৯৮টি ইউনিয়ন কেন্দ্র এবং ২৪টি পৌরসভা কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে। যারা অনলাইনে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তারাও এই কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন। টিকার সময় ভোটার বা এনআইডি কার্ড সঙ্গে থাকলেই চলবে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাজীপুরেও দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে, জনপ্রতিনিধিদের কার্যালয় থেকে করোনা টিকা দেয়া হচ্ছে। কুমিল্লা নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে মর্ডানা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মহানগরীর ৩২টি টিকা কেন্দ্রে এ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। এছাড়া জেলার ১৭ টি উপজেলা ১৯৩ টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভায় একযোগে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

খুলনায় ১৬১ কেন্দ্রে গণটিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৬১ হাজার ৪০০ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।যশোরে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি। জেলার ৯৩ টি ইউনিয়ন ও সদর পৌর সভার মোট ১শ’ টি কেন্দ্রে আজ সকাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। টিকাগ্রহণ ও টিকা নেয়ার পর করণীয় বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো-

১. আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকা দেয়াহবে।

২. সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায়ও প্রতি ওয়ার্ডে ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।

৩. যাদের বয়স ১৮ বা তদূর্ধ্ব তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

৪. প্রথম দুই ঘণ্টা শুধু নারী ও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল পুরুষকে টিকা দেয়া হবে।

৫. যারা ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লিখিত টিকাকেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

টিকা নেয়ার পরে করণীয়

১. টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

২. টিকা নেয়ার পর যেকোনো রকম শারীরিক অসুবিধা হলে সাথে সাথে টিকাদানকর্মীকে খবর দিন। প্রয়োজনে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

এছাড়া টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একে অপর হতে অন্তত ছয় ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় হাত/রুমাল দিয়ে নাকমুখ ঢেকে নিতে হবে।