দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড নগর বাউলের ৫৬ বছরে পদার্পন

দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড নগর বাউলের ৫৬ বছরে পদার্পন। ছবি-সংগ্রহ

সুপ্রভাত বগুড়া (বিনোদন): কখনো তিনি নগর বাউল, কখনো রকস্টার আবার কখনো সঙ্গীতপাগল জেমস। পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। দেশ ছাড়িয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে নগরবাউল জেমস নামেই তিনি অধিক পরিচিত। আজ ২ অক্টোবর, তার জন্মদিন। সঙ্গীতের এই কালপুরুষ ৫৬ বছর বয়সে পা রাখলেন।

এই রকস্টারের জন্ম ১৯৬৪ সালে, নওগাঁয়। বেড়ে ওঠা এবং সংগীতে জড়িয়ে পড়ার পুরোটাই চট্টগ্রামে। নগর বাউল জেমসের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাবা সরকারি বড় কর্মকর্তা হলেও জেমস ছিলেন অনেকটা বোহেমিয়ান। চট্টগ্রামে আজিজ বোর্ডিংয়ের একটি রুমে থেকে সঙ্গীত চর্চা ও সন্ধ্যার পর নাইট ক্লাবে গান করতেন।

Pop Ads

এভাবেই জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে তার। পরে চলে আসেন ঢাকা। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। জেমস নিজেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’প্রকাশ পায়। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপার হিট হয়ে যান জেমস।

এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়। এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’। একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’।

এরপর তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। কিছু গান চলচ্চিত্রে সুপারহিট হয়ে আছে। ‘দেশা দ্য লিডার’ ছবির জন্য গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে নিরবে নিভৃতেই কাটে তার দিন। নিজের মতো করে থাকেন, গান করেন। নিজেকে তৈরি করেন দেশ-বিদেশে স্টেজ শোগুলোর জন্য।