দেশের দ্রুততম মানব ও মানবীর খেতাব জিতে নিয়েছেন ইসমাইল ও শিরিন আক্তার

সুপ্রভাত বগুড়া (খেলা-ধুলা): দেশের দ্রুততম মানব ও মানবীর খেতাব জিতে নিয়েছেন মো. ইসমাইল ও শিরিন আক্তার। গেল জানুয়ারিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুই অ্যাথলেট হয়েছিলেন দ্রুততম মানব-মানবী। শনিবার (তিন এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের ইভেন্টে দ্রুততম মানবের খেতাব জিততে ১০.৫০ সেকেন্ড সময় নেন ইসমাইল। ১০.৬০ সেকেন্ডে রৌপ্য জেতেন একই সংস্থার আবদুল রউফ এবং ১০.৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন বিমান বাহিনীর নাইম ইসলাম।

ইসমাইল বলেন, ‘বাংলাদেশে গেমসে এটা আমার প্রথম স্বর্ণ। সবমিলিয়ে স্প্রিন্টে চতুর্থ স্বর্ণ। ২০১৩ সালে লং জাম্পে রৌপ্য জিতেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও এই পারফরম্যান্সে আমি খুশি। অনুশীলন কম হলেও দ্রুততম মানব হতে পেরেছি এটাতে আমি তৃপ্তি।’ টাইমিং খুব একটা ভালো হয়নি ইসমাইলের। সম্প্রতি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও তার টাইমিং ছিল ১০.২০ সেকেন্ড। টাইমিং নিয়ে ইসমাইল বলেন, ‘টাইমিং ভাল না করার কারণ ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারিনি।

Pop Ads

এখন যেটা হচ্ছে করোনার কারণে একবেলা অনুশীলন করতে পারছি। করোনা শেষ হলে আশা করি টাইমিংটা ভাল দেখতে পাবেন।’ এদিকে ১১.৬০ সেকেন্ডে বাংলাদেশ গেমসে স্বর্ণপদকের সঙ্গে দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতে নিয়েছেন শিরিন আক্তার। ২০১৩ সালের অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে তৎকালীন ট্র্যাকে রানী নাজমুন নাহার বিউটির কাছে হেরে রৌপ্য পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল শিরিনকে।

যে স্বর্ণপদকটি এবার নিজের করে নিলেন শিরিন। এই ইভেন্টে ১১.৭০ সেকেন্ডে সেনাবাহিনীর শরীফা খাতুন রৌপ্য এবং ১২.১০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জেতেন বিকেএসপির সোনিয়া আক্তার। শিরিন বলেন, ‘বাংলাদেশ গেমসে এটা আমার প্রথম স্বর্ণ জয়। এর আগে অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে বিউটি আপার কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়েছিলাম।

আমার স্বর্ণ জয়ের পিছনে অবদান বাংলাদেশ নৌবাহিনী, অ্যাথলেটিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। সর্বোপরি আমি বিকেএসপি থেকে ট্রেনিং করি। যত রকম সুযোগ সুবিধা সব তারা আমাকে করছে। আমার কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফি অনেক পরিশ্রম করছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি টানা ১২বার দ্রুততম মানবী হয়েছি, এটাই রেকর্ড বাংলাদেশের।’