দেশে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তবে দেশের অন্যান্য জেলা বা মহানগরগুলোর তুলনায় ঢাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অপেক্ষাকৃত বেশি দ্রুত। যা দেখে মনে হচ্ছে, সংক্রমণের গতি ঠেকানো না গেলে দ্রুতই ভয়ংকর রূপ নেবে করোনা। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বুলেটিনে দেখা যায়, গত ১ জানুয়ারি সারাদেশে ৩৭০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। যার মধ্যে ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত ছিলেন ৩২৭ জন। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে ৫ জানুয়ারি এই সংখ্যা গিয়েছে পৌঁছেছে সারা দেশে ৮৯২ জনে যার মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগরেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৩ জন। বাকীরা ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে দেখা যায়, গত ২ জানুয়ারি দেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৫৭ জন যার মধ্যে ঢাকায় ৪৮৫ জন। এরমধ্যে শুধু মহানগরেই আবার আক্রান্ত শনাক্ত ৪৭৭ জন। ৩ জানুয়ারির বুলেটিনে জানা যায়, সেদিন সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৭৪ জন, যারমধ্যে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৮০ জন।
এরমধ্যে শুধু মহানগরে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ৫৬৮ জনে পৌঁছায়। ঠিক একদিন পর ৪ জানুয়ারি সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন ৭৭৫ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৫৫ জন। কিন্তু শুধু ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৭ জনে পৌঁছায়।
সব মিলিয়ে গত ৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় বাড়ছে এবং এই হার দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় তিনগুণ বেশি! অবশ্য করোনায় আক্রান্ত হবার হার বৃদ্ধির বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
গত ৩০ ডিসেম্বর তিনি বলেছিলেন, আমরা টিকা দিচ্ছি, পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। তারপরও দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের সর্তক থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশ লকডাউন দিচ্ছে। এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার করোনা মোকাবিলায় নতুন করে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছ স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সবাই নারী।