দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে চায় সরকার। যার মাধ্যমে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করা যাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ নিয়ে বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকায় এর বিকল্প হিসেবে বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিজস্ব মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসাকে উৎসাহ দিতে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর আভাস দেয়া হয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবে। এছাড়া দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট আরোপ ও মোবাইল ফোন আমদানিতে বাড়ানো হচ্ছে শুল্ক। দুপুরে বাজেট প্রস্তাবে একথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এছাড়া প্রযুক্তি খাতের বিকাশে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের টার্নওভার করহার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক এক শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।

Pop Ads

জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ক্রিপটোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকায় এর বিকল্প হিসেবে অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিজস্ব মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

এতে ভার্চুয়াল লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান-প্রদান আরো সহজ হবে। দেশে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের প্রসার বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জিডিটাল মুদ্রা চালুর লক্ষ্যে কাজ করবে। এছাড়া, কম্পিউটার ও মোবাইল খাতের দেশিয় শিল্পের বিকাশে ল্যাপটপ, কিবোর্ড, কম্পিউটার প্রিন্টার ও ডিসপ্লে আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এ

ছাড়া মোবাইল ফোন ও চার্জার আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া মোবাইল ফোন বিক্রিতে ৫ শতাংশ মূসক আরোপ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল ছাড়া অন্যন্য সব বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।