নতুন বছরের শুরুতেই দ্বিতীয়বারের মত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া

নতুন বছরের শুরুতেই দ্বিতীয়বারের মত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর দাবির ছয় দিনের মাথায় আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ৭টা ২৭ মিনিটে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সরকার। এ বছর এটিই উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় বড় অস্ত্র পরীক্ষা।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে যে গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তার তুলনায় এই ক্ষেপণাস্ত্র আরও উঁচু ক্ষমতাসম্পন্ন বলে মনে হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া গত বৃহস্পতিবার একটি নতুন “হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের” সফল পরীক্ষা করার দাবি করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বলছে উত্তর কোরিয়ার দাবিটি অতিরঞ্জিত।

Pop Ads

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গেছে। গত সপ্তাহের পরীক্ষা যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল সেই একই অঞ্চল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।

জাপানের কিয়োডো সংবাদ সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে সাগরে গিয়ে পড়ে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর সর্বশেষ এই পরীক্ষাটি করলো তারা।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাঁচটি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য এই পরীক্ষার নিন্দা করে বলেছে যে উত্তর কোরিয়া “আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি।” মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঐ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপগুলোকে “অত্যন্ত দুঃখজনক” বলে অভিহিত করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদও “গভীর দুঃখ” প্রকাশ করেছে।

উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। পরের দিন রাষ্ট্র-চালিত সংবাদপত্র প্রকাশিত হলে তারা সাধারণত ঐসব পরীক্ষা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়ে থাকে। বছর শেষের ভাষণে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন “এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে” তার দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা