নবম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের নারী ক্রিকেট ইভেন্টের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

সুপ্রভাত বগুড়া (খেলা-ধুলা): আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো নবম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের নারী ক্রিকেট ইভেন্টের। ক্রিকেট ছাড়াও গেমসের বিভিন্ন ইভেন্ট থেকে উঠে আসা অ্যাথলিটদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানালেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্তারা। সিলেট স্টেডিয়ামের প্রশংসাও ঝরল তাদের কণ্ঠে।

এদিকে মাঠের লড়াইয়ে নিগার সুলতানার লাল দলকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে সালমা খাতুনের নীল দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম সবুজ গ্রাউন্ডে তিন দলে ভাগ হয়ে দাঁড়ানো নারী ক্রিকেটাররা। লাল-নীল-সবুজ জার্সি পরিহিত সবার পরিচয়, তারা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সদস্য। তবে, এখানে তারা একে অপরের প্রতিপক্ষ। উদ্দেশ্য, নবম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের পদক জয়।

Pop Ads

১ এপ্রিল থেকে মূল গেমস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, আন্তর্জাতিক সূচির চাপে মেয়েদের ক্রিকেটটা শুরু হয়ে গেল মাস খানেক আগেই। সে নিমিত্তে ঢাকা থেকে উড়ে আসেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। বেলুন উড়িয়ে, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন আনুষ্ঠানিকতার। সাধারণত গেমসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হলেও মেয়েদের ম্যাচ অনুশীলনের সুবিধার্থে টুর্নামেন্টটি হচ্ছে ৫০ ওভারের জানিয়েছেন তারা।

বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেন, ‘আমাদের গেমসটা এপ্রিল মাসে শুরু হবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। কিন্তু মেয়েদের সামনে ব্যস্ততা আছে, তাই তাদেরটা আজ থেকে শুরু হয়ে গেল। এটা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের অনুশীলনটাও হয়ে যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চাই, তাই গেমসকে জেলায় জেলায় আয়োজন করছি।’ এ ধরনের ইভেন্ট যত বেশি হবে ততই বাড়বে দেশের অ্যাথলিটের সংখ্যা। আর এখানে ভালো করারাই একদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে বলে আশা বিওএর মহাসচিবের।

শাহেদ রেজা আরও জানান, আমাদের কাজ শুধু গেমস আয়োজন করা না। এখানে যারা ভালো করবে তাদেরকে ভবিষ্যতের পথ দেখানোটাও আমাদের কাজ। আমরা যুব গেমসের পর অ্যাথলিটদের নিয়ে কাজ করেছি। সাফে তারা আমাদের জন্য পদক এনে দিয়েছে। এখান থেকেই আশা করি, অনেক ভালো অ্যাথলিট উঠে আসবে, তারাই সামনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।