ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়ার সুপারিশ !
সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পুনর্বিন্যাস করছে সরকার। এর নতুন নাম হচ্ছে নারী নির্যাতন দমন আইন। এতে ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুর সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ককেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় আনা হয়েছে। এটি সংসদের চলতি অধিবেশনেই উত্থাপিত হতে পারে।
দেশে বছরে স্বপ্রণোদিত গর্ভপাত ১১ লাখ ৯৪ হাজার। আর দিনে গড়ে এ সংখ্যা ৩ হাজার ২৭১। ২০১৪ সালে এই জরিপ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুতম্যাকার ইনস্টিটিউট। যদিও দেশের বিদ্যমান আইনে গর্ভপাত অবৈধ।
সে কারণেই শুধু ধর্ষণের শিকার নারীর জন্য গর্ভপাতের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ঢেলে সাজাচ্ছে সরকার।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে ১০ সপ্তাহের মধ্যে বা জীবনহানীর ভয় থাকবে না এমন সময় পর্যন্ত গর্ভপাত করানো যাবে। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে আইন কমিশন। ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন ফওজিয়া করিম জানান, শুধু ধর্ষণের শিকার নারী নয়, গর্ভপাতের বিধান সীমিত না করে বিদ্যমান আইনের সংস্কার প্রয়োজন। নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনাতেই পূর্ণাঙ্গ আইন দরকার।
প্রস্তাবিত খসড়ায় ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুর ভরণপোষণের দায়িত্ব ধর্ষক পিতা বা রাষ্ট্রকে দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তে বলা হয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের জবাবদিহিতার কথা। সংসদের চলতি অধিবেশনেই এটি সংসদে উত্থাপন হতে পারে।