নিজেকে জননেত্রী হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজেকে জননেত্রী হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি-সংগ্রহ

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১-এর নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, ‘আমি এক পায়ে বাংলা জয় করব।’ তিনি সেটা করে ছাড়লেন। ২০২১-এর ভোটের ফল বুঝিয়ে দিল, বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রতিহত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভরসা করল। বিজেপি মেনে নিয়েছে, রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে ভরসা না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই বাংলার উন্নয়নের জন্য ভরসা রেখেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে জননেত্রী হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছেন।

বাংলায় প্রায় ২৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। তিনিও ছিলেন জননেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি জ্যোতি বসু পরবর্তী বাংলার রাজনীতিতে একটি প্রধান মুখ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ের পর জানান, ‘আমার এখনের লক্ষ্য করোনা সংক্রমণের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বিজয় উৎসব করোনা কমে গেলে ব্রিগেড ময়দানে হবে। ভারতকে বাংলা বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই জয়ের পর আর করোও কোনও কথা মানায় না। করোনার ঝড় আমরা সামলে দেব। আমি রাজ্যের সব মানুষকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেব।

Pop Ads

কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করছি দেশের ১৪০ কোটি মানুষের কাছে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিতে। কেন্দ্র যদি দশটা না করে তাহলে আমি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অসহযোগ আন্দোলনে বসবো।’ নির্বাচনে জিতে মানুষের জন্য ভাবনার যে উদহারণ তিনি সৃষ্টি করলেন সেটা এক কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও মানুষের কাছে যুক্ত করবে। রাজ্যের মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কিছুতে তাঁর সরকার মানুষের পাশে আছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন।

সেটা যে সত্যি তার প্রমাণ কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, যুবশ্রী, বিনা পয়সায় রেশন, মহিলাদের মাসিক হাত খরচ, বিধবা ভাতা, কৃষকদের ভাতা এমন অসংখ প্রকল্প রাজ্যে চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প কোনও দল, সম্প্রদায় দেখে দেন না। এটা সবার জন্য তিনি করেছেন। এর ফলটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ।

তবে বাংলায় এই বিপুল জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে যাতে কোনও স্বৈরাতন্ত্রিক মনোভাব না আসে সেটা দেখতে হবে। কেননা তৃণমূলকে ২০১৯-এ রাজ্যের মানুষ যে ভাবে দূরে সরিয়ে বিজেপিকে কাছে টেনেছিল, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মানুষ হাত ভরে ভোট দিয়েছেন।
সূত্র : কলকাতা২৪