পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও চালের দাম বাড়তি, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও চালের দাম বাড়তি, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও রাজধানীর বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম। এক সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে কমপক্ষে ২ টাকা। করোনা ও লকডাউনে বিপাকে থাকা স্বল্প আয়ের মানুষদের কঠিন সংকটে ফেলেছে বাড়তি চালের দাম।

এদিকে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও মিল মালিকেরা মজুদ ধরে রাখায় বাজারে দাম বাড়ছে। এদিকে বাজারে মোটা চালের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন।

Pop Ads

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাসখানেক আগেও স্বর্ণা, গুটি, ব্রি-২৯, ব্রি-২৮, লতা, পাইজামসহ সাত থেকে আট ধরনের চাল পাওয়া যেত ৪৫ টাকা কেজির মধ্যে। এর মধ্যে কয়েকটির দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকার মধ্যে। করোনা পরিস্থিতিসহ নানা কারণে বৃদ্ধি পেয়েই চালের এই দাম দাঁড়িয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও দাম আরো বেড়েছে। খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা কেজির নিচে কোনো চাল নেই।

চলতি বছর সরকারের চালের মজুদ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু এর কোন সুফল পৌঁছাচ্ছে না ভোক্তা পর্যায়ে। বাজারে বেড়েই চলেছে সব ধরনের চালের দাম।

করোনা ও লকডাউনে চাপের মুখে স্বল্প আয়ের মানুষেরা। এর মধ্যে বাড়তি চালের দাম যেন অসহনীয় এক বোঝা। সরু এবং মোটা, দু ধরনের চালের দামই বেড়েছে কেজিতে কমপক্ষে ২ টাকা।

টিসিবি বলছে, গত এক বছরে খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ।এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল ৬০-৬৫ টাকায় কেনা গেলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে। নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা এবং আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।

চালের বাড়তি দামের কথা মানছেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও। সংস্থাটির মহাপরিচালক জানালেন, দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের মজুদ জানতে সব জেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব জেলায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারি গুদামে ১২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল মজুদ আছে। এছাড়া ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।